চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায়

 বাঙালি নারীদের কাছে লম্বা চুলে আলাদা একটি গুরুত্ব রয়েছে। নারীদের সৌন্দর্য চুলের অবদান অপরিসীম। বড় চুলের স্বপ্ন সবার থাকে। তাই সবাই চাই অল্প সময়ে খুব দ্রুত বড় চুল করতে। তবে লম্বা চুলের স্বপ্ন দেখলে হবে না তার জন্য চেষ্টাও কঠিন হওয়া চাই।


 চুল লম্বা করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর কিছু তেল ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি এই সমস্ত নিয়ম মেনে নিতে পারেন তাহলে আপনার চুল খুব দ্রুত বড় হওয়া সম্ভাবনা থাকবে। আপনি যত চুলের যত্ন নিবেন আপনার চুল তত দুটো বড় হওয়া সম্ভব না থাকবে। কিছু নিয়ম মেনে নিলে আপনার চুল শুধু বড় হবে না চুল ঘন কালো হয়ে উঠবে। 

পোস্ট সূচিপত্র: চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায় 

অল্প সময়ে দ্রুত চুল লম্বা ও ঘন করার উপায় 

অনেকে চুল লম্বা করতে চাইলেও পারেন না। সবার স্বপ্ন থাকে দ্রুত চুল লম্বা করবে । এবং তার চুল ঘন কালো কুসকুসে হবে। এই স্বপ্ন সবার পূরণ হয় না। যদি আপনি নিয়ম মত চলে যত্ন নেন তাহলে আপনার ওই মন স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। দুতো চুল কালো ও লম্বা করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত চলে যত্ন নিতে হবে। যেমন 

আরো পড়ুন: পাথরকুচি পাতার উপকারিতা অপকারিতা

নিয়মিত তেল মালিশ 

নিয়মিত তেল মালিশ চুলের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। বিভিন্ন ভেজোষ তেল চুলে পোস্টটি যোগায় ও চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। বিভিন্ন ধরনের তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা যায় এর জন্য এক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল এক চামচ কাঠ বাদাম তেল এক চামচ জলপাই তেল হালকা গরম করে নিতে হয়। অর্ধেক চা চামচ কঠোর অয়েল। এই তেল চুলে লাগালে এরপর আধা ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলে দিতে হবে। ভাবে একদিন পারবা চলবে তেল মালিশ করতে হবে। 

চুল সব সময় পরিষ্কার রাখুন 

চুল পরিষ্কার রাখা জরুরী সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার রাখুন। শ্যামপুর সঙ্গে চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় ভয় থাকে না। ময়লা জমে থাকলে চুলের বৃদ্ধিতে আঘাত ঘটে। তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার করুন। 

চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট 

সাতা তো আমি সেরা অভাবে কারণে চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই সাপ্তাহে অত্যন্ত একদিন চুলে প্রোটিন প্যাক লাগানো যেতে পারে। পেগ লাগানোর আগে চুলের দুই চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল ও চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে চার থেকে পাঁচফোটা ভিনেগার বা লেবুর রস মিলিয়ে নিন। আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন এরপর টক দই ডিম মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন প্র্যাকটিস যেন একটু ঘন হয়। তারপর আপনি চাইলে মাথায় লাগাতে পারেন লাগানোর পরে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এতে খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি প্যাকের কার্যকারিতা বেড়ে যাবে।

পুষ্টিকর খাদ্য ভাস গড়ে তুলুন 

খাদ্যাভার চুলের বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। শাকসবজি ফলমূল বাদাম ডিম দুধ মাছ ইত্যাদি খাওয়া অভ্যাস করুন। আমিষ ও ভিটামিন সমুদ্ধ খাবার চুলকে মজবুত করে এবং দুটো বাড়াতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় 

অনেকের ছোট চুল দ্রুত বড় করতে চায় বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে অনেক বেশি। চুল ঘন করা বা চুল লম্বা করে একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে নিয়মিত চুল লম্বা করার প্রকৃতির উপকরণ তেল ব্যবহার অল্প সময়ের মধ্যে চুল লম্বা করা যায় 

প্রথমে এটি ভিসা আপনার কাছে পরিষ্কার নিয়ে চুল লম্বা বা ঘন করা একটি সময় সাপেক্ষে বিষয়। এতে কোন ম্যাজিক নয় যে আপনি চাইলে সাথে সাথে চুল বড় বা লম্বা করে ফেলবেন এজন্য সময় প্রয়োজন, প্রয়োজন নিয়মিত চুলের প্রচার করার সঠিক তেল ব্যবহার খাদ্যভাসের পরিবর্তন, নিয়মিত ঘুমানোর সময় একটি সুস্থ নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করা। তাহলে সাত দিনের মধ্যে আপনি খুব সহজেই চুল বড় করতে পারবেন। তবে সাত দিনে আপনার চুল খুব একটা বড় হবে না তবে পরিবর্তন হবে।

আরো পড়ুন: ১৭ টি ওষুধে গাছের নাম ও তাদের উপকারিতা

লম্বা করার সঠিক পদ্ধতি 

চুল লম্বা করার সঠিক উপায় হচ্ছে নিয়মিত চুল পরিষ্কার করার সুষম  খাদ্যগ্রহণ দৈনিক ৬ ঘন্টা থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো পরিমিত পরিমাণ পানি পান করা। এগুলো পাশাপাশি নিয়ে আমাদের চুল সাইজ করা উচিত বিশেষ করে ছেলেদের চুলের যত্ন নিয়মিত চুল কাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনি চাইলে বাসায় বসে নিজের নিচে নিজের চুল কাটতে পারেন। 

কাঁচির ব্যবহার: চুল ছোট করতে কাজের প্রয়োজন হয় কিন্তু লম্বা করতে কেন কাচের দরকার এটাই ভাবছেন তো? দ্রুত চুল লম্বা করতে নিয়মিত চুল ট্রিম করা প্রয়োজন। আগা কাটাও ভঙ্গ রোগ ক্ষতিগ্রস্ত চুলের অংশ কেটে ফেলতে হবে। 

১ মাসে চুল লম্বা করার উপায় 

চুল ভালো রাখা জন্য তারা যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ভালো চুল পাওয়ার জন্য সামান্য হলেও পরিশ্রম করতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে আপনাকে। জেনে নিন ঠিক কিভাবে ত্বকের যত্ন করবেন কি কি টিপস মেনে চললে স্বপ্নের ঘন ও লম্বা চুল পাবেন আপনিও। 

অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা 

লম্বা ও ঘন চুল পাওয়ার জন্য যে যে সব সময় অতিরিক্ত দামি হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে এরকম অর্থ কিন্তু নেই ইন্টারনেটে সার্চ করে যে দামি প্রোডাক্ট দেখলেন তা কিনে চুলে মেখে ফেলবেন এরকম ভুল কিন্তু করবেন না।

আরো পড়ুন দেশীয় নিমপাতা ব্যবহার করে ২২ টি রোগ নিরাময় করার সহজ উপায়

প্রত্যেকের চুলের ধরন এবং স্কিন প্রকৃতি এক নয়। তাই সব প্রোডাক্ট সবার চুলে একই প্রভাব ফেলবে তা না। অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের চুলের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে খুব অল্প এবং প্রয়োজনীয় পোডাকে সব সময় চুল ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত প্রোডাক্ট চুল খারাপ হতে পারে। শুষ্ক হয়ে যেতে পারে চুল। ফলে চুলের বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে। 

ঠিকভাবে তেল মাখা

তেল মাখার সময় সতর্ক হতে হবে। সারারাত চুলে তেল মেখে রাখা উচিত নয় এদের চুলের ক্ষতি হতে পারে। চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে পারে চুল দূর্বল থাকায় উঠে আসতে পারে। এমনকি সংক্রমণও হতে পারে ফলে চুলের বৃদ্ধি ও বাধা হতে পারে। 

তাই বলে কি চুলে তেল মাখবেন না এই ভুলটিও করবেন না চুলে নিয়মিত তেল মাখা প্রয়োজন। সাথে অত্যন্ত দুই থেকে তিন দিন চুলে অবশ্যই তেল মাখন। এতে আপনার চুল ভালো থাকবে চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় আদ্রতা এবং পোস্টটি পৌঁছালে চুলের বৃদ্ধি ও হবেও দেখার মতো সৌন্দর্য ফিরে আসবে।

স্পা ও ট্রিমিং 

পার্লারে কিন্তু সময় দিতে হবে। তবে ঘরে যত্ন নিলো  স্বপ্নের লম্বা চুল পাওয়া সম্ভব। কিন্তু পার্লারে গিয়ে সামান্য গ্রুপিং করতে হবে আপনাকে। বাড়িতে যদি টিমিং এবং স্পা করে নিতে পারেন তবে পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেকে মনে করেন চুল কাটলে নাকি চুলের বৃদ্ধির থমকে যায়।

  এ ধারণাকে ভুল বলেছেন তাদের মতে ভাল লম্বা চুল পাওয়ার জন্য অত্যন্ত তিন মাস সামান্য ট্রিমিং করা প্রয়োজন এতে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়।

ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন 

মাস একবার যেমন হেয়ার স্পা করবেন এভাবে ঘরেও কিন্তু ডিপ কন্ডিশনিং করার কথা ভাবতে হবে আপনাকে। তাই সাথে হইতাম তো একদিন আপনাকে হেয়ার কাট ব্যবহার করতেই হবে। ঘরোয়া হেয়ার প্যাকে ভরসা রাখতে পারেন আপনিও। উপকার পাবেন। 

হেনার হেয়ার প্যাকও যেমন ব্যবহার করতে পারবেন টক দই ও ডিমের হেয়ার প্যাক ও ব্যবহার করতে পারবেন এই সময়ে। হেয়ার প্যাক লাগিয়ে এক ঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন 

ঘরে বসে মুখে কালো দাগও চুল পড়ার সমস্যা দূর করুন অ্যালোভেরা দিয়ে

প্রতিভা শ্যাম্পু করার সময় সহায়ক জল ব্যবহার করুন গরম জল বা অতিরিক্ত ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন না। এতে স্ক্যাল্প রুক্ষ হয়ে যায়। চুলের বৃদ্ধি ও থমকে যেতে পারে। কন্ডিশনার হইয়া সিয়াম ব্যবহার করুন যে কোন সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকরা।

চুল লম্বা করার ঘরোয়া পদ্ধতি 

চুল তো লম্বা করতে চাইলে আমাদের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে চুল দ্রুত লম্বা করা যায়। এইতো করে চুলের কোন ক্ষতি হয় না। দ্রুত চুল লম্বা করার স্বপ্ন সবার থাকে। শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না স্বপ্নে দেখার সাথে সাথে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে চুল লম্বা করার জন্য। নিজেকে কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে আপনার চোখ দুটো লম্বা করা সম্ভব।

 আপনি শুধু স্বপ্ন দেখেন আর পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনার চুল কখনো লম্বা হবে না। আপনাকে স্বপ্নে দেখার পাশাপাশি আপনার চুল চুলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চুল লম্বা করার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা হলো যেমন 

কাঠবাদামের তেল 

বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারলে ভালো হবে। তবে দোকান কাঠবাদাম তেল পাওয়া যায়। তবে সরাসরি এ তেল চুলে না মেখে গরম করে ব্যবহার করুন। ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করে নিন সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে চুল লম্বা হবে। 

আমলকি 

কেশচর্চায় আমলকির ভূমিকা অনিবার্য। আদ কাব আমলকি গুলোর মধ্যে এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল  মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে মিশিয়ে নিন ডিমে সাদা অংশ। তারপর চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে এলে ধুয়ে নিন সপ্তাহের দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে সুফল মিলবে।

ডিম ব্যবহার 

শরীরে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি চুল লম্বা করতে উপকারী। আদ কাপ মত ডিমের সাদা অংশ চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন উপকার পাবেন। 

লেবুর ব্যবহার 

শ্যাম্পু করার পর এক চামচ মত পাতিলেবুর রস ভিজে চুলের গোড়ায় ভালো করে মেখে নিন। ভিজে চলে শুকনো তলে যদি আধঘন্টা মত অপেক্ষা কর তারপর আর চলবে না। পরের দিন চাইলে একবার শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। তবে পাতিলেবুর রসের গুনে লম্বা হবে চুল।

নিমের ব্যবহার 

চুল লম্বা করার আরেকটি একটিভ উপায় হতে পারে নিম পাতা। নিমপাতা বেটে চলে ভালো করে মেখে নিন জমে থাকা ময়লা দূর করতে নিম পাতার রস অনেক ভূমিকা রাখে। নিম পাতার রস চুল বড় করতে অনেক ভূমিকা রাখে। চুলের জন্য নিমপাতা যথেষ্ট উপকারী। খুব দ্রুত চুল বড় কথা নিমপাতা দেখা করতে পারেন।

মেয়েদের চুল ঘন করার উপায় 

চুল যদি ঘন ও নরম হয় তবে তা আপনার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েকগুণ। বর্তমান সমস্যায় ভগিনী বেশিরভাগ মানুষ। চুল পড়ে যাওয়া চুলের আগা ফেটে যাওয়া চুল রুক্ষ মলিন হয়ে যায় এসব সমস্যায় ভোগে মানুষ। চুল পাতলা হওয়ার কারণে মনের মত করে ৪০ সাজানো যায় না। আর চুল পড়তে করতে শুরু করলে যদিও নতুন চুল না যায় তাহলে টাক করার মতো সমস্যা অস্বাভাবিক নয়।

চুল ঘন করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হল ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়া। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে আরো কিছু বিষয়ের প্রতি। আমাদের প্রতিদিন ছোট ছোট কিছু কাজ কিছু যত্ন দ্রুত চুলকে ঘন করে তুলবে। যেমন 

তেল এবং সিরাপ ব্যবহার 

চুলে তেল ব্যবহার না করা আপনার চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। চুল সুন্দর রাখতে চাইলে তেলের বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে চুলে তেল ও সিরাপ ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুল সব ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। গোসলের আগে বা পরে চলে সিরাপ ব্যবহার করুন। বেছে নিতে হবে চুলের জন্য মানানসই সিরাপ তেল। 

চুল পরিষ্কার রাখুন 

গরমের সময় ঘামের কারণে চুলের গোড়ায় সহজে ময়লা জমে চাই। যে কারণে চুল পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে অত্যন্ত দুই দিন চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এর বেশি ব্যবহার করে চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা তা নষ্ট হতে পারে।

কন্ডিশনার ব্যবহার 

অনেকে আছেন যারা চুলের শুধু শ্যাম্পু ব্যবহার করেন কিন্তু কন্ডিশনের ব্যাপারে এড়িয়ে যান। এটি মোটেও ঠিক অভ্যাস নয়। চুল ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু করা শেষ হলে চুল ধুয়ে নিন। এরপর সামান্য কন্ডিশনার নিয়ে চুলের মাঝখানে থেকে লাগানো শুরু করে নিচের দিকে যেতে হবে। কন্ডিশনার লাগানোর পর কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে দিতে হবে। 

আলতো হাতে চুল আঁচড়ান

গোসলের পর বের হয়ে অনেকে ভেজা চুল আঁচড়ানো শুরু করেন। এটি করা যাবে না চুল কিছুটা শুকানোর সময় দিন। এর আলতো হাতে চুল আঁচড়ে নিন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ার ভয় থাকে না। 

আরো পড়ুন: দাগন ফলের উপকারিতা

সিল্কের বালিশ 

ভাবছেন চুল ঘন করার সঙ্গে সিল্কের বালিশের কি সম্পর্ক? আসলে সুতির কাপড় আর্দ্রতা শোষণ করে নেই । তাই বালিশের কভার সতী তৈরি হলে তা চুলের আদ্রতা সরষে নিতে পারে। তাই বালিশে সিল্কের কাপড় ব্যবহার করুন এতে বালিশের সঙ্গে চুলের ধর্ষণ কমবে চুলের ডগাও কম ভাঙবে।

নিয়মিত ট্রিম করুন 

চুল ঘন ও সুন্দর রাখতে চাইলে চুল নিয়মিত ট্রিম করতে হবে। কারণ চুলে আগা ভেঙ্গে যাওয়া খুব সাধারণ সমস্যা নিয়মিত ট্রিম করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে চুল হয় মজবুত ও সুন্দর দেড় মাস পর একবার করে চুল ট্রিম করে নিবেন।

ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার 

চুলের যত্নে বাইরে থেকে এক কেনা হেয়ার প্যাকের বদলে ঘরে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার  ভয় থাকে না। সে সঙ্গে বেঁচে যায় খরচ। ঘরোয়া নানা উপকারী উপাদান দিয়ে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন হেয়ার প্যাক।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ঘন করার উপায়

এমনিতে ছেলেরা কম তক রূপ সচেতন অনেকে এসব কৃতিমতো অবহেলা করেন। কিন্তু খাদ্যাভাস অনিমত ঘুম দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নানা কারণে পুরস্কার ত্বক এবং চুল নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা করতে দেখা যায়। তবে দিন বদলাচ্ছে অনেকে এখন চুলে যত্ন বাড়িয়েছেন হেয়ার কালার করাচ্ছেন। কেউ কেউ যাচ্ছেন জেন্টস পার্লারেও। 

কিন্তু প্রতি ১০ জনের প্রায় চারজনে ভুগছে চুল পড়ার সমস্যায়। একে স্বাভাবিক ধরে নিয়ে পাশ কাটালেন নিজের ভালো থাকাকে অবহেলা করা হয়। আর কথা আছে আগে দর্শন নারী পরে গুণবিচারি তাই নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চুল পড়া কমিয়ে ঘনত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা ভালো। তাই ঘন চুল চাইলে যে সকল কাজগুলো করতে হবে 

ধূমপান না করা 

ধূমপান স্মার্টনেস এবং ভাবাটা সবচেয়ে বড় আনস্মার্ট ব্যাপার। তবে দুঃখজনক যে দেশের তরুণদের অধিকাংশ ধূমপানের দিকে ঝুঁকছে। ফলে দেহের ভিতরে জীবন প্রভাব পড়ছে তিন নীতির কঠিন ধূমপানের প্রভাব দেখা যাচ্ছে তাদের মাথাতেও। হালকা হয়ে আসছে হেয়ারলাইন অর্থাৎ বাড়ছে চুল পড়া।

 ধূমপালে ফলে আপনার মাথায় সঠিক তাপমাত্রায় রক্তপ্রভা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফলে চুল পুষ্টি বঞ্চিত হচ্ছে পানিহীন হয়ে গোরা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই চুল বাজাতে চালের ধূমপান ছাড়ুন। ধূমপান ছাড়া তিন মাস পর থেকে চুলের যত্ন নিতে শুরু করুন। মাথায় কয়েক দিন পর পর তেল দিন চিরনি ব্যবহার করুন । এতে মাথার রক্ত সঞ্চাল বাড়বে সেইসঙ্গে ঠিক থাকবে চুলের বৃদ্ধি।

বেশি করে পানি পান করুন 

শুধু চুল পড়া নাই দিনে সঠিক পরিমাণ পানি আপনার ত্বকের সমস্যার সমাধান করে। তাই সবার উচিত সারাদিন পরিমাণ মতো পানি খাওয়া। দেহে পানির ঘাটে দেখা দিলে হেয়ার গোপ ও হেয়ার ফলের মত সমস্যা হতে পারে। তাই দিনে অত্যন্ত তিন লিটার পানি পান করবেন। আর শরীরের তরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ফুট জুসও খেতে পারেন। 

চুলের জন্য সবুজ চা 

নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে অনেকে নিয়মিত গ্রিন টি খান। কিন্তু আপনার চুলকে ফির রাখতো বিএনপির বিশ্বজোড়া বদর রয়েছে। বিশেষ করে চুল পড়া কমাতে গ্রিন টি খুবই উপকারী। তবে খেতে হবে না। মাঝারি মাপের কাপে গরম পানি নিয়ে তাতে দুটি টি ব্যাগ দিয়ে দিন। ঠান্ডা হলে মাথার ত্বকে দিন। আট এ দশ দিন ব্যবহার করে সুফল মিলবে চুলে। কমে যাবে আপনার চুল পড়ার হার। 

চুলের বন্ধু অ্যালোভেরা 

অ্যালোভেরার মাঝে লুকিয়ে আছে হেয়ার ফল আটকানো দুর্দান্ত রসদ। সাথে তিন থেকে চার দিন গোসলের আগে এলোভেরার ব্যবহার করলে চুল দূষণমুক্ত হবে। ফলে হিয়ার ফল কমে যাবে। সেই সঙ্গে গো হেয়ার সমস্যা হাস পাবে। চাইলে এলোভেরার সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার পাতার জেলি বের করে সামান্য পানি মিশে একদিন ফ্রিজে  রেখে দিন। এর পরদিন গোসলের ৩০ মিনিট আগে চুলে লাগাতে পারেন।

পেঁয়াজ ব্যবহার 

পিয়াজে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু নাশক উপাদান থাকে। এ পেঁয়াজের রসিক হেয়ার গ্রুপের ও নতুন চুল তৈরিতে অপরিসীম। এছাড়া পেঁয়াজ থাকলে আর সালফার চুল পড়া চুলের ভেঙে যাওয়া ও অকালে চুল পড়ে যাওয়ার আটকায়। পিয়াজের রস চুলের সঠিক পিএইচ লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

চুলের গোড়ায় প্রদান করে পুষ্টি তাই খুব কম সময়ে ঘনত্ব বাড়ি চুলের। সপ্তাহে তিন দিন রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে মাথায় হালকা করে লাগিয়ে নিন পেঁয়াজের রস অথবা অনিয়ন অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার চুল পড়া ও চুল ফাটার সমস্যা দূর হবে।

লেখক শেষ কথা 

চুল বড় ও কালো করার স্বপ্ন সবাই থাকে। এর জন্য আমরা বাজার থেকে অনেক প্রোডাক্ট ব্যবহার করি কিন্তু আসলে এসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করা আমাদের জন্য দেওয়া উচিত না। তাই আমাদের চুল বড় করতে চাইলে যেসব ব্যবহার করব তা আগে আমাদেরকে বুঝতে হবে সে সম্বন্ধে জানতে হবে দিয়ে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। আর অতিরিক্ত কিছু ব্যবহার করা যাবে না।

 পোষ্টের মধ্যে যেসব উপকারিতা দেওয়া আছে তা আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তা নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে ।অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। নিয়মমাফিক ব্যবহার করলে আপনাদের অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ও কালো  হবে।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url