অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার

 অনেকেরই অকালে চুল পেকে যায়। চুল পাকার কারণে কেউ কেউ আশঙ্কায় পরে যান নিশ্চয়ই তার কোন বড় রোগ হয়েছে। অল্প বয়সে অনেকে চুল পেকে যায় তার কারণ হচ্ছে হরমোনের সময় সে অকালে চুল পাকতে পারে হাইপোথাইয়েডিজম


 ও হাইপারথাইয়েডিজম এই দুই সমস্যার জন্য চুল অকালে পাকতে পারে। আবার কারো বংশগত কারণে অকালে চুল পেকে যায়। পরিবারের রক্তের সম্পর্কে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কারো অকালে চুল পেকে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে এমনটা হতে পারে।

পোস্ট সূচীপত্র: অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার 

অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ 

  • অনেকের অনেক কারণবশত অল্প বয়সে চুল পেকে যায় এতে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। আবার কেউ কেউ আশঙ্কায় পড়ে যায় নিশ্চয় তার কোন বড় রোগ হয়েছে। তবে চুল পাকার কারণে স্বপ্ন চুল পাকার অনেক ধরনের কারণ থাকে। যেসব কারণে অল্প বয়সে চুল পাকে তা হলো: 
  • বংশগত কারণটি অন্যতম। পরিবারের রক্তের সম্পর্কে আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কারো আকারে চুল পেকে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে এমনটা হতে পারে। 
  • হর মনের সমস্যা অকালে চুল পাকতে পারে হাইপোথাই য়েডিজম ও হাইপার থাইরয়েডিজম এই দুই সমস্যায় চুল অকালে আঁকতে পারে। রক্তের থাইরোডেন হরমোন এর পরিমাণ কমে গেলে তাকে থাইপোয়েডিজম বলে। এর কারণে অকালে চুল পাকতে পারে। 

      আরো পড়ুন: নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি

  • মানসিক অবসাদ মানসিক চাপ কষ্ট দুশ্চিন্তা থেকে অকালে চুল পাকতে পারে। তারুণ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে সেরেটনিন হরমোন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। মাসিক অবসাদ রক্তের সেরটোনিন হরমোন এর মাত্রা কমিয়ে দেয়।
  • সেরে টনিন হরমোন মাসিক উৎকর্ষের জন্য কাজ করে। যত বেশি মন উৎপন্ন থাকে ইতিবাচক চিন্তা বেশি করবেন সেরেনিনের মাত্রা বেশি থাকে।
  • অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলে চুল অতিমাত্রায় ডাই ও রং ব্যবহার করল চুল অকালে পাকতে পারে। সব প্রসাধনীর সব বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী নয়। 
  • ভেজাল খাবার পরিবেশ দূষণের জন্য চুল পাকতে পারে। 
  • অতিরিক্ত ফাস্টফুড উচ্চ মাত্রার প্রোটিন অতিমাত্রায় কমল পানীয় ও শারীরিক ওসবের প্রভাব এবং বয়স অনুযায়ী ওজন বৃদ্ধি থাকলে চুল অকালে পাকতে পারে। 
  • কিছু অটোমিউল ডিজিজে যে চুল সাদা হয়ে যায়। এ ধরনের রোগের জন্য ভিটিলিগো অন্যতম।
  • কেমো থেরাপি রেডিওথেরাপি সহ কিছু ওষুধের প্রক্রিয়ার চুল পেকে যায়।

চুল পাকা বন্ধ করার খাবার 

সাধারণত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলে পাক ধরতে শুরু করে। তবে সেটা তরুণ বয়সে নয় বরং ৪০ পার হওয়ার পর। আমাদের শরীরের ত্বকের রং নির্ধারণ করেছে পিগমেন্ট সেল তা থেকে মেলানিন নামের এক ধরনের রঞ্জন কণিকা উৎপাদিত হয়। ইয়ে মেলানিনের কারণে চুলের রং কালো হয়। শরীরে তখন মেলালিনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় তখন থেকে চুল পাকতে শুরু করে। চুল পাকার মূল কারণ এই মেনানের অভাব। এছাড়া দুশ্চিন্তা রাত জাগা ভিটামিনের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে চুল পাকতে শুরু করে। 

আরো পড়ুন: ১৭ টি ওষুধি গাছের নাম ও তাদের উপকারিতা

অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান হতে পারে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ। শরীরে ম মেনালিন উৎপাদন বাড়াতে কিংবা ভিটামিনের প্রভাব কমাতে বড় প্রভাব রাখবে যে সব খাবার। যেমন 

শাক আগে আছে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড যার শরীরে মিরালিনের অভাব দূর করে। নিয়মিত স্বাদ মেথি মটরশুঁটির চুল পাকতে বাধা দেই। নিয়মিত শাক খেলে অল্প বয়সে যে চুলপাকা সমস্যা আছে তা রোধ করা যায়। তাই আমাদের নিয়মিত শাক খাওয়া উচিত।

ডিমের কুসুমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা ও বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন বি১২। অন্য কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকলে চুল পাকা রোদে ডিমের কুসুম হতে পারে ভালো সমাধান। 

গন্ধ জাতীয় খাবার: দুধের তৈরি যে কোন খাবার যেমন ছানা পায়েস কিংবা এক গ্লাস খাটে দুধ কমিয়ে দিতে পারে আপনার চুল পাকা আশঙ্কা। দুধে থাকা ভিটামিন গুলো চুল যেমন শক্ত করে তেমনি পাকার হাত থেকে সুরক্ষাও দেয়। 

জিংক সমৃদ্ধ খাবার: প্রকৃতিতে পাওয়া জিন সমুদ্র খাবার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে কুমড়া তরমুজ জাতীয় খাবার প্রচুর জিংক থাকে। চুল কালো রাতে বেশি উপকারী জিংক সমুদ্র খাবার।

কপার সমাদ্ধ খাবার : সামুদ্রিক মিঠা পানির মাছ তিল গম গরু ও খাসির মাংস আছে প্রচুর পরিমাণে কপার এই কপার শরীরের মেলানিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তাই অকালে চুল পাকারোধ করতে কপার সমাদ্ধ খাবার খান।

দুশ্চিন্তা কম করন: অসময়ের চুল পাকার পিছনে সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসাবে কাজ করে দুশ্চিন্তা। তাই চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকার। বাড়তি চাপ ততটা এড়ানো যায় ততই মঙ্গল। মনে রাখবেন যত বেশি চাপ নিবেন তত বাড়বে চুল পাকা আশঙ্কা। 

বাদাম: বাদাম খেলেও পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি বাদামের চুলে তেল মাখলেও উপকার পাবেন। বাদামে অনেক পুষ্টি থাকার কারণে চুলের জন্য অনেক কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে বাবা তবে তেল মাথায় দিলে চুল পাকা রোধ করে। তাই নিয়মিত বাদাম ব্যবহার করতে পারেন। 

গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পটাশিয়াম এবং থাকে যা চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে বেশ উপকারী। প্রতিদিন অর্ধেক গ্লাস গাজরের রস খেলে পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তাই আপনি চাইলে প্রতিদিন গাজরের রস করে খেতে পারেন। গাজর চুল পাকা রোধ করে থাকে। এটি চুল পাকার রোধে জন্য অনেক অনেক সুন্দর কাজ করে থাকে ‌

চুল পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে  

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। এ পরিবর্তন গুলির মধ্যে চুল পড়া এবং চুল ধসুর হয়ে যাওয়া বা চলতে ভাষায় চুল পেকে যাওয়া অন্যতম। প্রায় ৫০ এর উপরে হলে চুল পাকতে শুরু করা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এই পরিবর্তন যদি আগে ঘুরতে শুরু করে তাহলে শরীরের নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাব অকালে চুল পাকতে পারে। যেমন 

ভিটামিন সি: কম বয়সের চুল পাকা সবচেয়ে বড় কারণ হলো ভিটামিন সি এর অভাব। ভিটামিন সি অর্থাৎ এস করবি এসিড যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না পায় তবে তার চুল ধূসুর হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। এতে চুল ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে আরো কারণ। 

আরো পড়ুন: দেশীয় নিম পাতা ব্যবহার করে ২২ টি রোগের নিরাময় করার সহজ উপায়

আসলে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের পোলা যে তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এটি চুলকে ধর্ষণ হতে বাধা দেয়। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকলে চুলের বৃদ্ধ হয় এবং চুলের শুষ্কতা চলে যায়। ভিটামিন সি চুলের জন্য খুবই উপকারী এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। 

ভিটামিন সি এর অভাব দূর করতে হলে আমাদের খাদ্য বাড়ছে পরিবর্তন আনতে হবে। উল্লেখযোগ্য পরিমানে ফল ও সবজি খান। বিশেষজ্ঞদের মতে আমরা যদি প্রতিদিন প্রতিদিন পায় ৪ গ্রাম পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করি তাহলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দ্রুত পূরণ করা যায়। ভিটামিন সি আপনার রক্ত সঞ্চালককেও উন্নত করে।

ভিটামিন বি: ভিটামিন বি ও দায়ী শুধু ভিটামিন সি এর ঘাটতি নয় ভিটামিন বি এর অভাবে চুল পড়ে এবং চুলের রং সাদা হয়ে যায়। দীর্ঘদিন এসব ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে টাক পড়ার আশঙ্কা থাকে। দুগ্ধ জাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি পাওয়া যায়। তাই খাবারে দুধ দই ও পানির পরিমাণ বাড়ানো উচিত। ভিটামিন বি ৬ এবং ভিটামিন বি ১২ চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

 ভিটামিন ডি এর অভাব: ভিটামিন ডি এর ঘাটতে শুধু আমাদের হাড়ের ক্ষতি করে না এটি আমাদের চুলের ক্ষতি করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পাকতে শুরু করে। আপনি যদি প্রতিদিন কিছুটা সময় সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকেন তবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে।

প্রোটিনের ঘাটতি: প্রোটিনের ঘাটতি চুলের বৃদ্ধি ও প্রভাবিত করে। আপনি যদি আপনাকে চুল লম্বা এবং ঘন করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার চুলের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করতে হবে। ভাই কেরাটিন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক হাতটি হল চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভেঙে যেতে পারে।

অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস 

মানুষের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুল সাদা হয়ে যায়। অনেক এটিকে চুল পেকে গেলে বলে উল্লেখ করেন। মাথার চুল সাদা হওয়া প্রসঙ্গে বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক মর্যাদা ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন। তা মুসলিম উম্মার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় নিয়ামত।

বার্ধক্যের কারণ যাদের মাথার চুল সাদা হয়ে যায় তাদের প্রতিটি সাদা চুলের বিনিময়ে আল্লাহ তা'আলা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন। চুল সাদা হয়ে যাওয়ার বিনিময় গুনাহ মাফ সহ অন্যান্য মর্যাদার কথা ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 

যে কারণে তিনি তার উম্মতকে সাদা চুল উঠিয়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। চুল সাদা হলে যেসব ফজিলত মর্যাদা লাভ করবে মমিন তা তিনি হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছেন। 

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা সাদা চুল উঠিয়ে ফেলো না। কেননা সেগুলো কিয়ামতের দিন আলো হবে। আর যে মুসলিম ব্যক্তির চুল বাধ্য জনিত কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিপরীতে একটি করে সাওয়াব লেখা হয়। একটি করে গুনাহ মাফ করা হয় এবং একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। 

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার কারণ

সুতরাং চুল সাদা হয়ে গেলে তা কোন ভাব উঠানো ঠিক নয়। মাথার চুল সাদা হয়ে গেলে এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন আলো লাভ গুনাহ মাপ এবং মর্যাদা বৃদ্ধির চেয়ে আর কি সৌভাগ্য হতে পারে। 

আল্লাহতালা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তৌফিক দান করুন। সাদা চুল উঠে ফেলা থেকে শুরু করে হাদিস বিরোধী অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।

চুল পাকা বন্ধ করার তেল

বয়সের সাথে সাথে চুল পাকা স্বাভাবিক। কিন্তু বয়সের আগে চুল পাকার তা অস্বাভাবিক। তখন এটি সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। যখন চুলের পোস্টগুলো রঞ্জক উৎপাদন তৈরি করা বন্ধ করে দেয় তখন অকালে চুল পাকা সমস্যা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে চুল অকালে পেকে যাওয়ায় ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে। 


বর্তমান নির্দিষ্ট বয়সের আগেই পাকা চুলের সমস্যা বাড়ছে মানুষের মধ্যে ৪ অন্যতম কারণ আমাদের জীবন যাপন। বিশষজ্ঞরা জানিয়েছেন চুল পাকা রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সরিষার  তেল। চুল পাকার সমস্যা দূর করতে সরিষা তেল ব্যবহার জেনে নিন ।

অকালে চুল পেকে যাওয়াটা আটকাতে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার হল সরিষার তেল। এই তেল পায়েল সবারই রান্নাঘরে থাকে। কাঠের ধানের সরিষার তেলের খোঁজ করুন। খুশকি আর শুষ্ক চুলের যত্নের জন্য এটি ভীষণ উপকারী। 

আরো পড়ুন: ঘরে বসে মুখের কালো দাগ ও চুল পড়ার সমস্যা দূর করুন এলোভেরার দিয়ে

সরিষার তেল ব্যবহারকারী অক্সিডেন্ট সমুদ্ধ। এতে ছেলের নাম রয়েছে চাবুক চুলের গোড়া এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। এই তেল পাকের দিকে আক্সিট সমুদ্ধ, যা চুলে ফুলি ফল ও চুলের গোড়ার জন্য অপরিচার্য। 

সরিষার তেল এন্টি ফাঙ্গাল এবং আন্টি ব্যাকটেরিয়াল যাওয়া কাল চুল গোড়ার স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত। এটি চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী। সরিষার তেলে অনেক ধরনের গুণ আছে যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। তাই যদি আমরা নিয়মিত সরিষার তেল মাথায় ব্যবহার করে তাহলে আমাদের চুল পাকারোধ হবে। চুলে পুষ্টি গুণ বৃদ্ধি পাবে। 

কিভাবে চুলের তেল ব্যবহার করবেন 

তিন টেবিল চামচ সাথে ৫০০ মিলিগ্রাম সরিষার তেল ভালো মানের ঠান্ডা নারিকেল তেল ২০০ মিলি র এক চা। চামচ ভাজা মেথি বীজ এবং এক চা চামচ গুড়া কারি পাতা যোগ করুন। এ মিশ্রণ পায় এক সপ্তাহের জন্য রেখে তারপর চুল ও চুলের গোড়ায় এই তেল ম্যাসাজ করুন। 

এক মিনিট ধরে সরিষার তেল গরম করে আস্তে আস্তে আপনার চুলের গোড়া এবং চুলে তার একটি মাসাজ করতে পারেন। এয়ারটেল দিয়ে একদিন বাদে বাদে পাই দশ দিন মাসাজ করলে পার্থক্য টের পাবেন। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সাথে দুই বার বা তিনবার এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।

মাথার শোয়ার আগে এক ঘন্টা বাদ ২ ঘণ্টা তেল মাথায় রাখার চেষ্টা করুন । সারারাত মাথায় তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। 

চুল পাকা রোদে আরো যা করতে পারেন ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং লোহা অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধে বিশাল ভূমিকা পালন করে। বাদাম, দুধ, এবং সবুজ পাতাযুক্ত সবজি এই পুষ্টি সমূহ খাবারের উদাহরণ।

স্থায়ী ভাবে চুল  পাকার নিয়ম 

সাদা চুলের সৌন্দর্য আলাদা। বিশ্বজুড়ে এখন মাথার চুল সাদা রেখে স্টাইল করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক সাদা চুলে স্বস্তিবোধ করেন না রং কোরান নিয়মিত। অনেকে আবার চুলের রং করাতে চান না কিন্তু দাওয়াতে সাদা চুলো যেতে চান না। চাইলে খুব সহজে কিছুক্ষণের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সাদা চুল কালো করে ফেলা যায়। আর এটা করা যায় বাড়িতে। প্রকৃতিক ও রাসায়নিক দুই উপাই আছে সাদা চুল কালো করার জন্য। 

প্রকৃতিক উপায় 

দুই উপায়ে চুল কালো করতে পারেন। প্রথমটায় শহর করবে বিটরোডের রস। বিটরুটের রস ভিজিয়ে চলে চেপে চেপে লাগেনি। এরপর হেয়ার ডায়ের দিয়ে শুকিয়ে নিন।

আরেকটি পদ্ধতি হল কপি খুব ঘন করে জাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর তোলার সাহায্যে ফিরে লাগান। চাইলে অ্যালোভেরা মিশাতে পারে, না এতে করে কিম জাতীয় ভাব চলে আসবে তুলে লাগানোর পর হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে নিন। খুব সহজে চুল কালো করা যায়। প্রয়োজন শেষে চুল থেকে উঠে ফেলা কঠিন হবে না। তেল লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলে বাড়তি রং চলে যাবে যেটুকু চলে লেগে থাকবে সেদিন মিলিয়ে যাবে।

কৃত্রিম উপায়

কৃত্রিমভাবে তৎক্ষণিক ভাবে চুল কালো করার বেশ কিছু আছে উপায়। এরমধ্যে হেয়ার স্প্রে, হেয়ার কালার, হেয়ার মাসকারা এককালীন রং আর পাউডার বেস্ট জনপ্রিয়।

আমলকি ও হেনা 

চুলের যত অসাধারণ ব্যবহার করা হয় তার বেশিরভাগই প্রধান উপাদান হলো আমলকি। ঘরোয়া উপায়ে পাকা চুল কালো করতে চুলের লেজ অনুযায়ী হেনা পাউডার গরম পানিতে ভিজে স্প্রে করে নিন। এবার পেস্টে আমলকি পাউডার ও অলক কফি মেশিন ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। ১ ঘন্টা থেকে চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। 

মেথি নারকেল তেল 

আমিনো এসিড ও লিকিথিন সময় ধরে আমাদের চুল সাদা হয় রোধ করে। নারিকেল তেল গরম তাতে মেথি দানা দিয়ে ১০ মিনিট উঠিয়ে নিন। এবার গরম অবস্থায় মেয়েকে ছেঁকে নিয়ে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন। রাতে ঘুমানোর আগে মানুষ করে পরদিন সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিলে সব থেকে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান 

অল্প বয়সে চল পেকে গেলে মনের কষ্টে  ভোগেন অনেকে। চুল পেকে যাওয়া মানুষের জীবন চক্রের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জাতি গোষ্ঠীর ভিন্নতা বিভিন্ন বয়সে চুল পাকা শুরু হয়। যেমন কোকো শীয়দের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সে চুল পাকতে শুরু করে। আবার ভারতীয় বংশ দ্র ভূতের স্বাধীনতা ৩০ বছর বয়সে পর এটি শুরু হয়। এ বয়সে আগে চুল পাকলে তাকে অকালে চুল পাকা বলে।

এটা সময় ছিল যখন ৫০ বিরলের চুল পাক ধরতো। কিন্তু এখন পরিবেশ দূষণ এবং আধুনিক জীবনযাত্রা স্টেসই কারণে ৩০ প্যারাতে না ফেরাতে কালো চুলের ফাঁকে উঁকি মারতে শুরু করে সাদা চুলের দল। আর যত সময় এগুতে থাকে তত যেন এদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ছেলে হোক বা মেয়ে চুলের চিন্তায় তাদের রাতের ঘুম যেন মাথায় উঠে। এখানে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে বলে দেওয়া হল যেগুলো অনশন করলে দেখবেন একটাও সাদা চুলের খোঁজ আপনি পাবেন না। 

চুলের রং তখনই বদলাতে শুরু করে যখন তার মধ্যে থাকা পিগমেন্টের উৎপাদন কমে যায় বা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ এই পিগমেন্টের কারণে চুলের রং কালো হয়। 

প্রসঙ্গত অনেক কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন বার্ধক্য, জিনগত কারণ, স্টেস, ভিটামিন বি১২, এর ঘাটতি হাইপোথাইরওয়েডিজম, ভিটিলিগো, ধূমপান, পুষ্টির ঘাটতি, প্যানেসিয়াম, অ্যানিমিয়া, পরিবেশ দূষণ এবং চুলের যত্ন ঠিকমত না নেওয়া প্রভৃতি।

তবে পরিসংখ্যান ৩০ বছর বা তার কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে বেশি পরিমাণে তাই থাকে স্টেসই। কারণ এ বয়সীতে স্টেসই লেভেল বাকিদের তুলনা অনেক অনেক বেশি হয়।

তাই সাবধান একটা ফ্যাক্টরকে যদি কন্ট্রোল করে নিতে পারেন তাহলে অনেকটাই মিলতে পারে।

লেখকের শেষ কথা 

অল্প বয়সে যদি চুল পেকে যায় বা চুল পাক ধরতে লাগে তাহলে আপনি উপরের দেওয়া নিয়মগুলো মানতে পারেন। করে আপনার চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। অনেকের অল্প বয়সে চুল পেকে যায় এতে তাদের রাতের ঘুম আসে ন। তবে আপনি উপরের দেওয়া নিয়মগুলো মেনে নিলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার সাদা চুল কালো হবে। আর যাদের এখনো চুল পাকেনি তার আগে ট্রিটমেন্ট গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনাদের কালো চুল আরো কালো ফুসফুসে হবে। সব নিয়ম মেনে চললে আপনার অল্প বয়সে চুল পাকা রোদ হবে। 

তবে সব কিছু একটা নিয়ম আছে । নিয়ম মেনে চুলের পরিচর্চা করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত চুলের যত্ন নিন তাহলে আপনার অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। উপর দেওয়ার নিয়ম মেনে চলে আপনার অল্প বয়সে চুল পাকা সমস্যা দূর হবে।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url