সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। ডিম চেয়ে আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারিতা কেনা জানে। প্রেসার কমে গেলে টিম শক্তি জোগাতে ডিম শরীর দুর্বল হলে ডিম ছোট থেকে শুরু করে সবাই আমরা ডিম খেয়ে থাকি।
শিশুদের দৈহিক বিকাশ মেধা বিকাশ ডিম বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে ডিম যেমন আমাদের শরীরে অনেক শক্তি যোগায় তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। তাই আমাদের ডিম খাওয়ার আগে সে সম্বন্ধে জেনে নেওয়া উচিত।
পোস্ট সূচিপত্র: সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- একটি ডিমের মধ্যে যে সকল গুনাগুন থাকে
- কাল সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেলে কি হয়
- প্রতিদিন ডিম খেলে যেসব ক্ষতি হয়
ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং পুষ্টিকর একটি খাদ্য। দিন সকলে পছন্দ কিন্তু ডিমের কিছু অপকারিতা আছে। শিশুদের দৈহিক বিকাশ মেধা বিকাশ ডিম বিশেষ ভূমিকা রাখে। কবে শেখদের মতে ডিম ভাজা খাওয়ার চেয়ে হাফ বয়েল বা সিদ্ধ করে ডিম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
ডিমের পুষ্টিগুণ
একটি ডিমে যে কি কি উপাদান আছে তা শুনলে আপনি নিজে অবাক হবেন। একটি ডিমে আছে অনেকগুলো উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। একটি দিবে এনার্জি আছে ১৩৪ ক্যালোরির মত কার্বহা-ডাইডেট আছে ০.৭২ গ্রাম
আরো পড়ুন: পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
ফ্যাট আছে ৯,৫ এক গ্রাম প্রোটিন আছে ১২.৫৬ গ্রাম। ফসফরাস আছে ১৯৮ কিলোগ্রাম পটাশিয়াম ১৩৮ কিলোগ্রাম জিংক আছে ১. ২৯ কিলোগ্রাম। এছাড়া ভিটামিন এ ডি ই বি ১২ আয়রন কোলিন কোলেস্টেরল ইত্যাদি থাকে।
ডিম আমাদের শরীরে ওজন কমাতে এলার্জি বাড়াতে হাড়ের স্বাস্থ্য দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে প্রোটিনের উচ্চ ত্বকের স্বাস্থ্য মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য চুল বৃদ্ধিতে গর্ব অবস্থায় বেশি জোর বাড়াতে ক্যান্সার প্রতিরোধে চোখের সমস্যা হার্ট ভালো রাখে কেলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ইত্যাদি কাজ করে থাকে ডিম।
দেহের শক্তি যোগায় ডিম
আমাদের প্রতিদিন জীবনযাত্রার কাজ কমে আমাদের শক্তির প্রয়োজন আছে। টিমে থাকা পোস্ট এগুন আমাদের দেহের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ দিয়ে থাকা প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খাওয়ার জন্য।
প্রোটিনের অশ্রু হিসেবে ডিম
আমাদের দেহের প্রোটিনের অভাব দূর করতে ডিমে অবদান বিশেষ। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন আমাদের ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে আমাদের হাড় মজবুত করে। এশা দিয়ে শক্তির জোগাতে ডিমে অবতার অন্যতম।
শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে
অনেকের ধারণা যে ডিম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। শুনতে অবাক লাগলো সত্যি যে ডিমের সাদা অংশ থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যার মধ্যে কোন প্রকার ফ্যাট নেই। আমরা জানি যে পেটের কারণে মানুষ বেশি মোটা হয়ে থাকে বা ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে। তাই আপনি নির্ভয়ে ডিম খেতে পারেন নিয়মিত।
হার শক্ত মজবুত করে
ডিম হারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে ডিম খেলে হাড়ের ব্যথা দূর হয় এছাড়াও ডিমের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করে।
আরো পড়ুন ১৭ টি ওষুধে গাছের নাম ও তাদের উপকারিতা
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া এখন অনেকের দৃষ্টিশক্তি দিনদিন কমে যাচ্ছে । ডিমের মধ্যে থাকা উপাদান দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যাদের দৃষ্টিশক্তি বা চোখের সমস্যা আছে তারা ডিম খেতে পারেন নিয়মিত।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন লিউটিন নামক উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়তা করে। এ ছাড়া নতুন পোস্ট গঠনে ভূমিকা রাখে।
হার্ড ভালো রাখে ডিম
আমাদের শরীরে হার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হার্ড ভালো রাখা। আমাদের সকলের জন্য জরুরী ডিম খেলে হার্টের রক্ত জমাট বাঁধে না। এবং শরীরের রক্ত স্বাভাবিক থাকে।
কিলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমাদের শরীরে ভালো এবং খারাপ এই দুই ধরনের কেলেস্টেরল আছে। ডিম খেলে ডিম আমাদের খারাপ কেরেস্টরলের পরিমাণ কমা এবং ভালো কেরেস্টেরল মাত্রা বৃদ্ধি করেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে।
ত্বক মস্তিষ্ক ভালো রাখ
ত্বক মস্তিষ্ক ভালো রাখে বিশেষ ভূমিকা রাখে ডিম। প্রতিনিধি ডিম খেলে মস্তিষ্ক ভালো সুস্থ এবং সবল রাখে। একইভাবে এই ডিমের মধ্যে থাকা পোস্টটি গুণ ত্বক ভালো রাখে। তাই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া অভ্যাস করুন
আরো পড়ুন: অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় ডিমের ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের সঠিক পুষ্টি খুবই প্রয়োজন। আরে অবস্থায় পুষ্টি যোগাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ডিম শিশুর জন্মের পরে মাকে সুস্থ রাখতে এবং মাতৃ দুগ্ধ পুষ্টি পরিপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে ডিম।
রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। ডিমের মধ্যে থাকা পোস্টটি উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যার ফলে আমরা কম অসুস্থ হই। তাই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিম খাওয়া উচিত।
একটি ডিমের মধে যে সকল গুনাগুন থাকে
একটি ডিমের মধ্যে যে সকল গুনাগুন রয়েছে তা নিচে দেওয়া হল:
- বিশ্বের কয়েকটি সুপার ফুড এর মধ্যে ডিম একটি অসাধারণ সুপার ফুড পুষ্টিতে ভরপুর।
- ডিমকে বলা হয় ন্যাচারাল ভিটামিন পিল।
- ডিমের মধ্যে আছে ভিটামিন এ নিয়ে যা দৃষ্টিশক্তির উন্নত করতে সাহায্য করে।
- ডিমের ক্যারোটিনয়েড লু্টেন ও জেয়েন্সথিন চোখের ছানি পড়া রোধ করে।
- ডিমে ভিটামিন বি ১২ আমরা যা খাচ্ছি তা খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
- ডিম দেহের পুষ্টিগুণ বাড়াতেও দীর্ঘস্থায়ী সাহায্য করে।
- ডিম রক্ত কোলেস্টেরল জমাতে বা বাধা দেয়।
- ডিম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ডিমকির নিয়ম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে।
- ডিম রক্ত লোহিত কণিকা তৈরি করতে ভূমিকা পালন করে।
- ডিমের ভিটামিন ই বন্ধত্বরোধ তারুণ্য ধরে রাখা এবং স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- গবেষণায় দেখা গেছে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তের টাইগি্লসারিডের পরিমাণ কমায়, যার ফলে হৃদ রোগ ঝুঁকি কমে।
- ডিমের ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি মাংসের ক্ষয় ক্ষরণ ও ব্লাড ক্যান্সার প্রথম কাজ করে।
- ডিম দুশো ধরে এন্টিবডি রয়েছে যা মানব দেহে স্যালমোনেলা আক্রমণ রোধ করে।
- ডিমের মধ্যে যে অ্যালবাম ইন আছে তা মিউকাস কে রক্ষণাবেক্ষণ করে ফলে পাকস্থলী প্রদাহ আলসার ডায়রিয়া প্রতিরোধ বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- এইচ, ডি, এল অসম্পূর্ণ ফ্যাটি এসিড ওমেগা ৩ যা রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস করে এবং রক্তনালীতে এল ডি এল বা লোড ডেল সিডি লাইফ প্রোটিন জমাতে বাধা দেয়। ফলে হৃদরোগ বা স্টকের ঝুঁকি বহু অংশে কমে যায়
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী একজন মানুষ সাপ্তাহিক কমপক্ষে ০২টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন তাই সুস্থ যদি থাকতে চান প্রতিদিন ডিম খান।
সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম খেতে ছোট বড় সবাই পছন্দ করে। দিবেন নানা পথ ভজন রসিকদের রচনা মিটায়। ডিমের অমলেট থেকে শুরু করে ভুনা কোরমা সহ বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়ে থাকেন। তবে সকালে খালি পেটে ডিম খেলে যেসব উপায় উপকারিতা পাবেন তা নিচে দেওয়া হল
আরো পড়ুন: চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায়
ডিমে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। একটি ডিমে এনার্জি থাকে ১৩৪ ক্যালোরি। আর কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মত। প্রোটিন থাকে ১২. ৫৬ গ্রাম, হ্যাট থাকে ৯. ৫১ গ্রাম। এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম জিন থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।
ডিমের সাদা অংশ থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট আয়রন ও ভিটামিন। শিশুদের বৃদ্ধি হার শক্ত করতেও মেধার বিকাশ ডিম খুব কার্যকর। ডিমের আরও আছে ভিটামিন নিয়ে যা দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে। আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি হারের জন্য ভালো।
পুষ্টিবিদদের মতে সকালে একটি করে ডিম খাওয়া শারীরিক বিভিন্ন রোগের সমাধান করতে পারে। জেনে নেই প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খেলে যেসব উপকার পেতে পারি
কাজের শক্তি পাওয়া
ডিম অ্যানার্জির খুব ভালো উৎস। ডিমে থাকে ভিটামিন থেকে মূলত অ্যানার্জি বা শক্তি মিলে। এতে থাকা ভিটামিন বি খাদ্যকে অ্যালার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে। তাই প্রতিদিন সকালে একটি সিদ্ধ ডিম খেলে সারা দিনের ক্লান্ত হীন থাকবেন।
দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করে
ডিম ভিটামিন এ এর খুব ভালো একটি উৎস। যা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। তাছাড়া ডিম থাকার ক্যারোটিন ওয়েট আর রুটিন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা ম্যাকুলার জেনারেটর হওয়া সম্ভাবনা কমায়।
চুলের জন্য ভালো
সিদ্ধ ডিম প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। শরীরে মাংস বেশি গঠনের জন্য প্রোটিন একটি জরুরি খাদ্য উপাদান। প্রোটিন শরীরের যেসব কোষ গঠনের সহায়তা করে এবং চুলের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান।
আরো পড়ুন অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
প্রতিদিন খাবারের ১০ থেকে ৩৫ % পর্যন্ত অথবা ৫০ গান থেকে ১৭৫ গ্রাম প্রোটিন থাকা উচিত। সকালের নাস্তা একটি সিদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া। যায় যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডিম খাওয়ার পরে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোটিন বেড়ে যায় যা ভালো কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। যাতে এইচ ডি এল মাত্রা বেশি তাদের হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম। একটি পরীক্ষা অনুসারে ৬ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে এইচডিএল এর মাত্রা ১০% বেড়ে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
হয়তো খেয়াল করেছেন সকালে বা রাতে ডিম খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। এটি আমাদের ডিমে উচ্চ প্রোটিন সামগী জন্য দায়ী। তাই সকালে নাস্তা অমলেট হোক বা সিদ্ধ ডিম অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে ফলে বারবার খাওয়ার চাহিদা কমবে এতে ওজন কমা সম্ভাবনা কম।
হাফ বয়েল ডিম খাওয়ার উপকারিতা
হাফ প্যান্ট শীতের পরিবর্তে পোচ ওমলেট করে ডিম খেলে শরীরের জন্য তা উপকারী না হয়ে বরং ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। কারণ ডিমের তৈরি এসব খাবার দ্রুত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটে যা শরীরে বিশেষ করে পেটে প্রদাহ তৈরি করে। তাই ইফতারের খালি পেটে হাফ পায়ের পোষ অমলেট করে ডিম খাওয়ার পর তাই দিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
অনেকে মনে করে আজ হাসি খুব উপকারী। বিষয়টা একেবারে তেমন নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলেছে হাফ বয়েল ডিম খেলে শরীরে শীত কাটাতে পারে একাধিক ব্যাকটেরিয়া। এইসব ব্যক্তিরা ফাঁদে পড়লে বমি ডায়রিয়া খপ্পরে পড়া সংখ্যা বাড়ে।
আরো পড়ুন : ড্রাগন ফলের উপকারিতা
তাই সুস্থ সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছা থাকলে হাফ বয়েল ডিম এগিয়ে চলার চেষ্টা করার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। না হলে এ সমস্যার শেষ থাকবে না।
একটি ডিম থেকে মিলে প্রায় 6.5 গ্রাম প্রোটিন। এ প্রোটিন কিন্তু স্বাস্থ্য গুণের সেরা সেরার সেরা। তাই নিয়মিত ডিম খেলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি অনায়াসে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
শুধু তাই নয় এতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেসিয়াম কোবালমিন সহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ। তাই নিয়মিত ডিম খেলে যে শরীরে পোস্টের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে পারে তা তো বলাই ভালো।
সিদ্ধ ডিম না অমলেট কোনটা বেশি উপকারী
পুষ্টিবিদরা বলেছেন টিমে সমস্ত গুণ পেতে চাইলে সিদ্ধ করে খেতে হবে। তাতে খাবার থাকা সমস্ত ভিটামিন ও খনিজ অক্ষত অবস্থায় গ্রহণ করতে পারবেন। কারণ ডিম ভাজলে তারিখ ক্যালোরি ভ্যালু অনেক বেড়ে যায়। হলে নিয়মিত অমলেট খেলে কোলেস্ট্রল ওজন বৃদ্ধি আশঙ্কা তৈরি হবে।
তাই বলে কিন্তু অমলেট কে স্বাস্থ্যের ভিলেন বানিয়ে দেওয়া যাবে না। বরং যে কোন সুস্থ সবল মার সাথে এক দুইবার অনায়াসে অমলেট খেতেই পারেন। তবে খুবই অফ তেলে ভাসতে হবে ডিম। এতে কোন সমস্যা আশংকা থাকে না বলেই চলে।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে মুখে কালো দাগ চুল পড়ার সমস্যা দূর করুন অ্যালোভেরা দিয়ে
কিন্তু ডায়াবেটিস কোলেস্টেরল হাই প্রেসার বা ওজন বেশি থাকলে কিন্তু চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের এর পরামর্শ নিয়ে তারপরে ওমলেট খেতে হবে। না হলে সমস্যা পড়তে সময় লাগবে না।
বয়লার মুরগির ডিমের খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেলে কি হয়
অনেকের ডিম খেতে খুবই ভালোবাসেন। আর সে ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে তারা প্রতিদিন দুইটি ডিম খেতেও পিছপা হন না তাতে যেমন মন খুশি হয়ে যায় সেই সঙ্গে শরীরও হাল পেতে বলে তাদের দাবি।
আমরা সকলে পাই জানি যে টিম খেলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মিটানো সম্ভব হয়। আর সেই কারণে অনেকে প্রতিদিন দুটো করে ডিম খেতে শুরু করে দেন। আর এ কারণে শরীরে কার্বো ভিটামিন মিনারেল এবং ফাইবারের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রতিদিন দুটো করে ডিম খাওয়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন : নরমাল ডেলিভারির জন্য কি কি ব্যায় াম ও খাবার খাওয়া উচিত
ডিম খুবই সহজ পাচ্য একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার। কে তাই বলে আবার প্রতিদিন এক গাধা ডিম খাবেন না। এ ভুলটা করলে কিন্তু ডিমের মতো হালকা খাবারও হজম হতে অনেকটা সময় নিবে। আর সে কারণে কিছু নিতে পারে গ্যাস এসিডিটির মতো একাধিক জোটের সমস্যা।
বিশেষত আইবি এস, আইবিডি এর মত অসুখ থাকলে এমন সমস্যার ফাঁদে পরা আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই পেটের স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে রোজ দুটি করে ডিম খাওয়া উচিত হবে না
টিমের প্রশ্ন অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন ও খনি রয়েছে। আরে সমস্ত উপাদান কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তাই বলে আবার রোজ রোজ দুটি গোটা ডিম খেয়ে নিবেন না।
কার ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলেস্টেরলের ভান্ডার। আরে উপাদান হার্টের ভয়াবহ ক্ষতি করে দ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাহারের অসুখের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে রোজ রোজ দুটি ডিম খাওয়া চলবে না।
প্রতিদিন একটা ওয়াটার ডিম যে কোন সুস্থ মানুষ খেতে পারেন। কিন্তু তার বেশ সংখ্যক ডিম রোজ খাওয়া উচিত নয়। অপরদিকে যার ডায়াবেটিস কোলেস্টেরল হাই প্রেসার এর মত সমস্যা আক্রান্ত তারা রোজ রোজ গোটা ডিম না খেয়ে সপ্তাহে দুই তিন বার খান। আর অন্যান্য দিনগুলো ডিমের সাদা অংশ খেয়ে রসনা তৃপ্তি করুন। আশা করছি এই নিয়মটা মেনে চললে আপনার শরীর সুস্থ থাকার প্রবণতা বাড়বে।
প্রতিদিন ডিম খেলে যেসব ক্ষতি হয়
শরীরকে সুস্থ রাখে ডিমের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু সেই সঙ্গে মেনে নিতে হবে যে নিয়মিত মাথা ছাড়া ডিম খেলে বেশ কিছু শারীরিক ক্ষতি হয় আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখন প্রশ্ন হল দ্বীপের সঙ্গে শরীরের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ঠিক কোথায়?
ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা
জিমে নালা পুষ্টিকর উপাদানের পাশাপাশি প্রচুর মাথায় ক্যালরি ও থাকে। তাইতো নিয়মিত দুটো ডিমের বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি আশঙ্কা বাড়ে। আরো দিন হাতের বাইরে চলে গেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না।
আরো পড়ুন : মাক্সি পক্সে আক্রান্ত হলে কি করনীয় ও লক্ষণ দেখে বোঝার উপায়
তাই যাদের ওজন ইতিমধ্যে একটি বিশেষ দিকে তারা নিয়মিত একটা ডিমের বেশি খাবেন না যেন। আর যদি আপনি বলেন আপনার উচ্চতার কম থাকে তাহলে তাহলে ইচ্ছামতো ডিম খাওয়ার সংখ্যা বাড়লে বা কমালে কোন ক্ষতি হয় না।
ফ্যাট রয়েছে প্রচুর মাত্রায়
শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কিছু পরিমাণ ফ্যাটের প্রয়োজন হয় বৈকি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই উপাদানের মাত্রা বেড়ে যাওয়াটা মোটেও ভালো ঘটনা। কারণ ডিমে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে অনেক সময় কিছু না কিছু ক্ষতি হওয়া সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
। ২০১০ সালে প্রকাশিত ডায়েটারি গাইডলাইন অনুসারে দৈনিক ফ্যাট থেকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশে বেশি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করা একেবারে উচিত নয়। তাই বয়স যদি একটু বেশি দিকে থাকে তাহলে দিনে দুটোর বেশি ডিম খাবেন না যেন।
ভুল করে বেশি মাথায় কাচা ডিম খাবেন না
বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে কাঁচা ডিম অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ হতে পারে। তাইতো বেশি মাথায় কাচা ডিম খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা ডিমের ঝালমনিলা নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া যায় যার প্রভাবে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা থাকে। তাইতো বেশি মাথায় কাঁচা ডিম খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
অ্যালার্জির প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে
ডিমের মধ্যে এমন কিছু এলার্জির থাকে যার প্রভাবে হঠাৎ করে এলার্জির বৃদ্ধি পায় আশঙ্কা থাকে। তাইতো যাদের ডিম থেকে এলার্জি হয় তাদের এই খাবারটি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসা করা।
ডিমের কাননে এলার্জি হলে সারা শরীর লাল হয়ে যাওয়া চোখ মুখ ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, বারবার বমি হওয়া, হাঁচি এবং সারা শরীর কেমন লাগার মত লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে পারে।
কিডনি ফাংশন ঠিক না থাকলে ডিম খাওয়া চলবে না
বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে যাদের কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না তাদের বেশি মাথায় ডিম খাওয়া একেবারে উচিত নয়। কাল শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়তে থাকলে কিডনির আরও ক্ষতি হওয়া সংখ্যা বেড়ে যায়। সে কারণে যারা কোন ধরনের পড়েছেন তাদের ০.৬-০৮ গ্রামের বেশি প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করতে মানা করেন চিকিৎসা কেরা।
আর যেমনটা আপনাদের জানা আছে যে ডিম হলো একটি পটনসমুদ্র খাবার। তাই এমন রোগীদের কম মাত্রা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসাকেরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিম বাস্তবিক শরীরের উপর কিছু খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে ঠিকই। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত হারে ডিম না খেয়ে কিন্তু একাধিক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরেন:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাট
ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নতি এবং সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাইতো এই উপাদানটির ঘাটতি হওয়া কোন সময় উচিত নয়। আর ঠিক এই কারণে প্রতিদিন অত্যন্ত দুটো করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
লেখকের শেষ কথা
ডিম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিদিন সকালে ডিম খেলে কাজের শক্তি বাড়বে শরীর দুর্বলতা কমবে। তবে আমরা ডিমের ওমলেট না খেয়ে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার চেষ্টা করব। প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার চেষ্টা করব দুইটি ডিম খাব না।
২টি করে ডিম খেলে আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই আমাদের দুটি ডিম খাওয়া উচিত না। প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করব। সত্যি করে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে, ও পুষ্টির কোন ঘাটতি হবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url