অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
আজকাল কিশোর কিশোরীর জন্য অতি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত চুল পড়া। সাধারণত একজন মানুষের দৈনিক ১০০ টির মতো চুল পড়তে পারে। সেগুলো আবার গজেও যায় কিন্তু চুল পড়ার সংখ্যা
যদি এর চেয়েও বেশি হয় তাহলে তার কারণ যেন জরুরী। বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত চুল পারে। এর একটি কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি। চুলের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন ভিটামিন এ বি বিশেষ করে বায়োটিন সি,ডি,ও,ই এবং বেশ কিছু খনিজ ,(আয়রন জিং )নিয়মিত গ্রহণ করা অপরিচর্যা।
পোস্ট সূচিপত্র: অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
- অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
- অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধের উপায়
- চুল পড়া বন্ধ করার প্রকৃতিক উপায়
- চুল পড়া বন্ধ করার শক্ত করার উপায়
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- চুল পড়া বন্ধ করার তেল
- লেখকের শেষ কথা
অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
বিভিন্ন কারনে হতে একটু চুল পড়তে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি। তরুণ বয়সী ছেলে মেয়েরা অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অল্প খাবার খায়। এতে করে সুষম খাদ্যে ঘাটতি হতে পারে। চুলের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন ভিটামিন
এ বি বিশেষ করে বায়োটিন সি ডি ও ই এবং বেশ কিছুক্ষণিক আয়রন জিন নিয়মিত গ্রহণ করা অপরিচার্য। এসব উপাদান সমূহ খামার হচ্ছে ডিমের কুসুম কলিজা বাদাম বীজ কলা মিষ্টি আলু মাশরুম ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার
অতিরিক্ত চুল পড়া আরেকটি কারণ হতে পারে থাইর য়েডের সমস্যা। এই সমস্যার কারণে চুল তৈরি বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং চুল বেশি পড়তে পারে।
মাথার ত্বকে কিছু ছাত্রকে সংক্রমণের কারণে চুল পড়তে পারে। দীর্ঘ সময়ের সাথে চুল ঢেকে রাখার ফলে এই ছত্রাকে সংক্রমণ হতে পারে। মাথা চুলকানো বা মাথার ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়েছে।
চুল রং করার মত কারণে অনেক সময় চুল পড়তে পারে রাসায়নিক পদার্থ বারবার করে চুলের রং করা বা বীজ করা চুল স্টেট করার মতো কারণে চুলের ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে চুল ভেঙে যায়।
শ্যাম্পুতে অনেক সময় সালফার যুক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর রাসায়নিকের কারণে মাথার ত্বক থেকে তেল ধুয়ে যায়। এর ফলে চুল শুকিয়ে যায় চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ভেঙে যায়। সোডিয়াম ক্লোরাইড শ্যাম্পুতে ব্যবহার করা হয় যার কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে বা চুলকাতে পারে এবং চুল পড়া বৃদ্ধি করতে পারে।
চুলকে খুব বেশি টান টান করে এমন হেয়ার স্টাইল করে হলে চুলের ফলি কল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভেজা অবস্থায় স্টাইল করলেও চুল ভেঙে যেতে পারে।
এছাড়া ট্রায়কোটিলোম্যানিয়া মত রোগো চুল পড়ার কারণ। এটি এমন একটি মনোস্থান্ত্রিক রোগ যার ফলে মানুষ বারবার চুল টেনে ধরে। এমন ক্ষেত্রে পাই তাদের টাক পড়ে যায়। টাইকোটিলোম্যানিয়ায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে চুল টানা বন্ধ করার জন্য এবং সেরা পেস্ট বা মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের স্মরণ পণ্য হওয়া প্রয়োজন।
হঠাৎ কোনো মানুষের চাপ যেমন অস্ত্রপাচার কোন আঘাত জনিত ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাওয়া গুরুতর সুস্থতা বা উচ্চ জ্বরের মতো কারণেও মানসিকভাবে প্রচুর চুল পড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধের উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নানা কিছু ব্যবহার করার সমাধান পাচ্ছেন না অনেকে। চুল একবার পড়তে শুরু করলেন জেনো বন্ধ হওয়ার না আমি থাকে না। এদিকে চুল পাতলা হতে শারীরিক কোন সমস্যার লক্ষণও। তবে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বাজার থেকে কিনে আনা কেমিক্যাল যুক্ত পণ্যের বদলে ব্যবহার করুন ঘরোয়া উপাদান। যেমন
নারিকেল তেলের ব্যবহার
চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহার করনীয়, নারকেল শুধু কিন্তু উপকারী। চুল পড়া বন্ধ করার পাশাপাশি চুল দুতো লম্বা করতো কাজ করে এটি। এতে কোন ক্ষতি করে রাসায়নিক উপাদান নেই সুতরাং নিশ্চিত একটি ব্যবহার করতে পারবেন। চুলো ও ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করে রং সঞ্চালন বাড়ায় নারকেল তেল।
আরো পড়ুন: চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায়
চুলের যত্ন নারিকেল তেল ব্যবহারের জন্য লাগবে একটি নারিকেল ও একটি শাওয়ার ক্যাপ। নারিকেল পরিয়ে নিন এর কয়েকটি পরিষ্কার সতীর কাপড় রেখে চেপে নারিকেল তেল বের করে নিন। এবার সেই তেলটুকু হালকা গরম করে নিন।
মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে মেসেজ করুন এই তেল। এরপর একটি শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রাখুন। এভাবে অপেক্ষা করুন ঘন্টাখানেক। এরপর আপনার চুলের জন্য মানানসই শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এভাবে ব্যবহার করলে চুল যেমন সুন্দর হবে তেমন হবে মজবুত। চুল পড়া বন্ধ হবে।
নিম পাতার ব্যবহার
তোগো চুলের যত্নে নিমপাতার ব্যবহার অনেক পুরনো। নেমে থাকে উচ্চমাত্রায় ফ্যালটি এসিড, যা মাথার ত্বকের জন্য উপযুক্ত। আর মাথার ত্বক ভালো থাকলে চুলের বৃদ্ধি পাবে। যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি একটি উপকারী উপাদান। নিম পাতা ব্যবহার করলে তা স্কোল্প থেকে অতিরিক্ত তেল উপাদান বন্ধ করে। হলে চুলের গোড়া শক্ত হবে নারিকেল তেলের সঙ্গে নিম পাতার রস মিশিয়ে তা স্কুলাব ও চুলে ব্যবহার করলে চুল লম্বা হবে দ্রুত। সে সঙ্গে মাথার ত্বকের যেকোন সমস্যার দূর হবে।
১০ থেকে ১২টি নিম পাতাও পরিমাণ মতো নারিকেল তেল নিন। এবার নিমপাতা বেটে রস বের করে নিন সেই রাষ্ট্রকে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে রাখুন। এভাবে অপেক্ষা করুন আধা ঘন্টার মত। এরপর ধুয়ে নিবেন নিম পাতার মাথার ত্বকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করবে। নারিকেল তেল ছাড়াও অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
মেথির ব্যবহার
চুল পড়া বন্ধ করতে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হলো মেথি। এটি চোখ দুটো লম্বা করতো কাজ করে। আপনি যদি চান যে চুল পড়া বন্ধ হোক এবং নতুন চুল গজাবে তাহলে মেথির ব্যবহার শুরু করুন। নিজেদের থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন যা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়াতে কাজ করে। এছাড়া ভিটামিন সি আয়রন এবং পটাশিয়াম থাকে। এসব উপাদান চুলের অকাল প্রপ্ততা রোধ কাজ করে
২ চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। এরপর সকালে মেথি পেতে তার সঙ্গে দুই থেকে তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথায় মেখে অপেক্ষা করুন আধা ঘন্টার মত। এরপর শ্যাম্পু করে নিন এতে চুলের গোড়া শক্ত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
চুল পড়া বন্ধ করার প্রকৃতিক উপায়
আপনি চাইলে প্রকৃতিক উপায় চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। প্রকৃতিক উপায়ের মধ্যে কিছু খাবার আছে যেসব খাবার খেলে আপনার চুলের পোস্টটি বৃদ্ধি পাবে। শীত মৌসুমে অনেক ধরনের শাকসবজি ফল বেশি পাওয়া যায় এসব ফলে ভিটামিন খনিজ ও এন্টি অক্সিডেন্ট আপনাকে এবং সুরক্ষিত রাখতে আপনাকে চলে কাজ করে।
আরো পড়ুন: পাথরকুচি পাতার উপকারিতা অপকারিতা
আবার চুলের জন্য অয়েল মাসাজ বাদামে তেল ও অয়েল মিশিয়ে তৈরি করে একটি তেলের মিশ্রণ তৈরি করা যায়। এভাবে চাইলে আপনি প্রকৃতির নিয়মে চুল মজবুত করতে পারেন। চুল পড়ার প্রকৃতিক কিছু নিয়ম আছে। যেমন
গরম তেল মাসাজ
চুল পড়া বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার হল গরম তেল দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে মালিশ করা। এটি করার জন্য বাদাম বা নারিকেল তেল গরম করুন এবং এটি দিয়ে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। এভাবে আপনি চুলে ফুলিকলগুলিতে রক্ত প্রবাহ বাড়ান স্ট্যান্ডের এর শিকড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মাথার ত্বককে কন্ডিশনার করে।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল রয়েছে এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলের শ্যাফটে প্রবেশ করে, প্রোটিনের ক্ষতি কমায়। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে যে নারকেল তেল মাথায় ত্বকের মাইক্রোবায়োকে সমুদ্ধ করে চুলের ফলিকল এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
রোজ মেরি তেল
কিছু গবেষণায় পরামর্শ দিয়েছে যে রোজ মেরি তেল উদ্দীপিত করতে পারে এবং চুল পড়া রোধ করতে পারে। চুল পড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য রোজ মেরি তেল ব্যবহার করতে জোরালো বা আর গান দিলের মত ক্যারিয়ার তেলের সাথে মিশিয়ে চুল এবং মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। এছাড়াও আপনি এটি আপনার কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পুতে যোগ করতে পারেন।
লেবু তেল
আপনি বাড়িতে চুল পড়ার সমাধান হিসাবে লেবু তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এই তেল আপনার মাথার ত্বকের সুস্থ রাখতে পারে। লেবুতে একটি বায়ো একটিভ রাসায়নিক রয়েছে যা সেনা পিক এসিড নামে পরিচিত যা চুলের ভিত্তিতে সহায়তা করে।
বাড়িতে চুল পড়ার চিকি লেবু তার ব্যবহার করতে শ্যাম্পু করা ১৫ মিনিট আগে আপনার চুল এবং মাথার ত্বকের লেবুর রস লাগান। এছাড়াও আপনি ক্যারিয়ার তেড়ে লেবুর অপরিহার্য তেল পাতলা করতে পারেন এবং এটি আপনার ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা
চুল পায়ের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে অ্যালোভেরা অন্যতম। উপ খাদ্যমূলক প্রমাণ দেওয়ায় যে এটি মাথার ত্বকে প্রসারিত করে। চুলে কন্ডিশনার পরে চুলের ফলি কলগুলিতে খুলে দেয় এবং খুশকি কমায়। অ্যালোভেরা সাথে চুলে কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিকেও উন্নত করার সময় প্রাচী অ্যালোপেরিয়া এরিয়াটার চিকিৎসা করতে পারে। তার ছাড়া এর রস রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটাতে পারে।
মেথি
সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়া বন্ধ করতেও মেথি ব্যবহার করতে পারেন। এটি করার জন্য মেথি পিক সারারাত পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে পেস্টে বেল্ট করুন। ৩০ মিনিট পরে ওটার আগে এ পেজটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান।
ডিমের মাস্ক
ডিমে উচ্চ প্রোটিন স্তর এটিকে চুল পড়া সর্বাত্মক প্রতিকার করে তুলে। আপনার চুল পুনরের গজানোর পাশাপাশি একটি ডিমের মার্কস আপনার স্ট্যান্ড গুলিকে শক্তিশালী করতে পারে। একটি ডিমের মার্কস প্রস্তুত করুন এবং তারপর এটি আপনার স্ট্যান্ড গুলিতে প্রয়োগ করুন ।
সবুজ চা
উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাত্রার কারণে গ্রিন টি চুল পড়ার একটি চমৎকার সমাধান। এই সমাধানটি ব্যবহার করতে গিএনটি তৈরি করুন এবং আপনার মাথার ত্বকে এটি প্রয়োগ করার আগে এটি ঠান্ডা হতে দিন। এটি কমপক্ষে এক ঘণ্টা রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন।
আমলা
আপনার মাথার ত্বকের শুকানো আমলা পাউডার বা আমলা তেল ব্যবহার করে এটি একটি বেস্ট তৈরি করা প্রকৃতিকভাবে চুল পড়া কমানোর আরেকটি টিপ। আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা আপনার চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুল পড়া বন্ধ ও গোরা শক্ত করার উপায়
প্রসাধনী যতই আধুনিক হোক না কেন তা মানুষের চুল পড়া সমস্যা স্ত্রী ও সমাধান দিতে পারছে না। চুল পড়া বর্তমান সময়ের দৈনিক দিন সমস্যা। নারী-পুরুষ ও ভাই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। চুল পড়ার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। চুল মজবুত হল ধুলা-ময়লা ঘাম খুশকি ছত্রাক ফাঙ্গার সঙ্গে কাব্য করতে পারেনা। নানা উপায় চুল মজবুত করা যায়
তাই বলে হতাশ হয়ে বসে থাকা যাবে না প্রকৃতিক অনেক উপাদান আছে যার ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। যেমন
চুলে বাড়তি মনোযোগ
চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশান্ত দাঁতযুক্ত চিরনি ব্যবহার করুন। প্রদেশ যাওয়ার সময় যতটা সময় চুল ঢেকে রাখুন। আগা ফেটে যাওয়া চুল অনেক সময় চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এর জন্য নিয়মিত কয়েক মাস পর পর চুলের আগা কেটে দিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।
আরো পড়ুন: ১৭ টি গাছের নাম ও তাদের উপকারিতা
নজর দিন খাবারের দিকে
শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলে তার প্রভাব পড়ে চুলে। সৈনিক পুষ্টি ঘাটতি পণ্যের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার রাখুন খাদ্য তালিকা। চুল মজবুত রাখতে খাদ্য তালিকা প্রচুর শাক সবজির রঙিন ফল রাখুন। গাজো টমেটো দু-তিন বাদাম জাতীয় খাবার চুলের গোড়া মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু
চুল পরিষ্কারের জন্য শ্যাম্পু অপরিচার্য। কিন্তু ভুল শ্যাম্পু কন্ডিশনার চুলের জন্য খুব ক্ষতিকর। ফুলের ধারণা অনুযায়ী শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। সেজন্য চিকিৎসক কিংবা হেয়ার স্টাইলিশ দের পরামর্শ নিয়ে শ্যাম্পু বাছাই করুন।
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন
দুশ্চিন্তা অনেক রোগের কারণ। মাসিক দুশ্চিন্তার কারণে পুষ্টি সম্মত খাবার গ্রহণের পরও অনেক সময় মানসিক চাপ কিংবা অধিক চিন্তার কারনে চুল পড়ে। তাই যত সম্ভব চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। মেডিসিন বা শারীরিক কিছু ব্যায়াম শরীর এবং সুস্থ রাখে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে চুলে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
অনেক তাপমাত্রায় বা ধুলায় যেমন ত্বকের ক্ষতি হয় তেমনি চলে এলো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই কারণে সময়ে চাই চুলের কাটতে যত্ন। চুলের যত্নের ভিটামিন ই ক্যাপশন এর জুড়ি নেই। এতে থাকা নানা উপাদান চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পাকা রোধ করে। ভিটামিন চুল কার্যকর। চুলের যত্ন যেভাবে ব্যবহার করবেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল
আরো পড়ুন: দেশীয় নিমপাতা ব্যবহার করে ২২ টি রোগের নিরাময় করার সহজ উপায়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও অ্যালোভেরা জেল
একটি পাতের ৭-৮ টা ভিটামিন এ ক্যাপসুল কেটে তার থেকে তেল বের করে নিন। সেই তেরে সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুল ও মাথার ত্বকে লাগান। আঙ্গুল দিয়ে আলতোভাবে মালিশ করুন। মাসাজ টি ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হবে সমস্যা কমবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ডিম এবং বাদাম তেল
একটি ডিম ভেঙে একটি পাথরে রাখুন। চারটে ভিটামিন এ ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এক চা চামচ বাদাম তেল নিয়ে মিশ্রণটির সঙ্গে ভালো করে মিশান। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে সারা চুলে মাস্কটি লাগান। এক ঘন্টা রেখে দিন এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সাতটায় ১ থেকে ২ বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দই এবং মধু
একটি পাত্র অর্ধেক কাপ দুই ও দুই চামচ মধু নিয়ে নিন। চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে দুইয়ের মিশ্রনের সঙ্গে ভালো ভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন সপ্তাহে দুই দিন এটি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দূর হবে। চুলের উজ্জ্বলতা ফিরবে।
চুল পড়া বন্ধ করার তেল
আমাদের চুল পড়ার সমস্যা গুলো কোন নতুন নয়। বিশেষ করে না দিয়ে সমস্যা প্রকট। তাই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল। ইমোতে ব্যবহারের চুলের নিয়ে আসবে প্রকৃতিক উজ্জ্বলতা। পাশাপাশি কমবে চুল পড়াও।
সরিষার তেল আলফা ফ্যাটি এসিড থাকা এই তেল ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও কন্ডিশনের কাজ করে। ফলে চুল ধুতো বাড়ে।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে মুখের কালো দাগ ও চুল পড়া সমস্যা দূর করুন অ্যালোভেরা দিয়ে
তুলে নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে ফলিকল মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে।
সরিষার তেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম বিভিন্ন মিনারেল ও ভিটামিন এ ছাড়া থাকে জিংক বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম। যা চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।
তাই চুল রুক্ষ শুষ্ক নিষ্পাপ হয়ে গেলে নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল দিতে পারেন এতে উপকার পাবেন।
পিয়াজের তেল
পিয়াজ যে আমাদের চুলের পক্ষে কতটা উপকারী সে তো আমরা কম বেশি সবাই জানি। এই পিয়াজের তেলে রয়েছে পিয়াজের সকল গুন। এছাড়া এটি সালফার যৌগগুলিতে সমুদ্ধ যার ফলে চুল লম্বা হয়।
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল চুলের পক্ষে খুবই ভালো এবং উপকারী তেল। এর বিশেষ গুণ হলো এটি মাথার রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে অনেক সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছে বেশি এসিড যা চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে অনেক। ভিটামিন ই উপাদান রয়েছে তেলে।
আরো পড়ুন: ড্রাগন ফলের উপকারিতা
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে কে না জানে এর বিশেষ গুণ হচ্ছে এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা সমদ্ধ। অলিভ অয়েল চুলকে গোড়া থেকে যত্ন করে চুলকে লম্বা ও মজবুত করে তুলে। চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
নিম তেল
নীল শুধু মুখের জন্য নয় চুলের জন্য অনেক উপকারী। এটি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল। এটি মাথায় ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধান করে চুলকে করে মজবুত কালো ঘন রেশমি। খুশকির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নিম তেল খুবই উপকারী একটি তেল। চুল পড়ার ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নারিকেল তেল
চুলের তেলের মধ্যে সবচেয়ে ব্যবহারকৃত তেল হচ্ছে নারিকেল তেল। চুলের খাদ্য জোগাতে নারিকেল তেলের জুড়ির মেলা ভাব। নারিকেল তেল রয়েছে লরিক এসিড যা চুলের পক্ষে খুবই ভালো। অতিরিক্ত প্রোটিনের ক্ষতিকে রোধ করে চুলকে করে শক্ত ঝলমলে। এটি চুলকে কন্ডিশনার এর মত সাইন করতে সাহায্য করে।
বাদাম তেল
বাদাম তেলে রয়েছে ভিটামিন খনিজ এবং ফ্যাটি এসিড সমদ্ধ যা চুলকে করে কমল ও শক্তিশালী। চুল পড়া এবং চুল ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করে চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং চুলের ভিতরে ফলিক ফলকে শক্তিশালী করে এবং আদ্রতা যোগায় চুলের যত্নে বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন এটি খুবই উপকারী তেল।
লেখকের শেষ কথা
চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। এছাড়া স্বাভাবিকভাবে চুল শুকানো খুব টাইট হেয়ার স্টাইল এড়িয়ে চলা। নিয়মিত চুল আঁচড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চুল ধোয়া বা আঁচড়ানোর সময় খুবই যত্নশীল হওয়া উচিত।
চুলে যে কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহারের সতর্ক হতে হবে। শ্যাম্পু ও হেয়ার জেল ব্যবহার করলে তা সঠিকভাবে ধুয়ে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো দীর্ঘ সময় মাথায় থাকলে তা ত্বকের ছিদ্রগুলো কে আটকে দিতে পারে যা মাথার ত্বকে অক্সিজেন স্বভাব প্রতিবন্ধতা তৈরি করবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url