পাথরকুচি পাতার উপকারিতা অপকারিতা

 যেসব ওষুধে কাজ পাচ্ছেন কাল থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে। তার মধ্যে পাথরকুচি অন্যতম চিকিৎসা বিজ্ঞানের মধ্যে পাথর পাতা কিডনি উচ্চ রক্তচাপ পেট ফাঁপা মূগী ত্বকের জন্য কাজ করে থাকে।


 পাথরকুচির পাতা খেলে যেমন আমাদের শরীরে অনেক অসুখ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। তেমনি এর কিছু ক্ষতিকার দিক আছে। তাই আমাদের উপকারিতা ও অপকারিতার দিকগুলো এ পোস্টের মাধ্যমে জেনে নেব।

পোস্ট সূচিপত্র: পাথরকুচি পাতার উপকারিতা 

পাথর কুচি পাতার উপকারিতা 

পাথরকুচি বিরুৎজাতীয় একটি ঔষধি উদ্ভিদ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেসব ঔষধি গাছ প্রাচীনকাল কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে পাথরকুচি অন্যতম। পাথরকুচির পাতাও আমাদের শরীরে অনেক কাজে লাগে। পুরনো কোন অসুখ যদি ভালো না হয় পাথরকুচির পাতা দ্বারা সে অসুখ ভালো করা সম্ভব। পাথরকুচি পাতার রস যদি খাওয়া যায় তাহলে আমাদের পুরনো সর্দির ভালো হয়ে যায়।

আরো পড়ুন: মাক্সি পক্স এ আক্রান্ত হলে কি করনীয়

পাথরকুচির পাতা যদি আমরা প্রতিদিন সকালে রস করে খাই বা চাবিয়ে খায় তাহলে আমাদের শরীরের অনেক রোগী বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাথরকুচির পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমরা নিজেও জানিনা 

যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এত পরিমাণে উপকারী পাথরকুচি পাতা। প্রতিদিন সকালেও সন্ধ্যায় যদি দুইটি করে পাতা খাওয়া যায় তাহলে আমাদের শরীরের কিডনির পাথর ও পেট ফাঁপা রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব। 

রোগ প্রতিরোধ পাথরকুচি অতুলনীয়। পুরনো স্মৃতিতে পাতার রস গরম করে খেলে উপকার হয়। ছোট বড় সবার মিত্র রোদে পাতার রস খাওয়ানো হয়। মূত্র নালির যেকোনো সংক্রমণে রক্ত পিসি, পেট ফাঁপা, শিশুদের পেট ব্যথায়, মূগী রোগের পাথরকুচির রস খাওয়ানো হয়। মূত্র পাথর সারিয়ে দিতে সক্ষম পাথরকুচি।

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম 

পাথরকুচি গাছ একটি হল ভেষজ উদ্ভিদ। এটি আমরা অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি। এর কিছু বিশেষ নিয়ম আছে। এটি মেনে আমাদেরকে এটি ব্যবহার করা উচিত। পাথরকুচির রস কাজ ভেদে এটি পরিবার মত ব্যবহার করা উচিত। তবে বিশেষ করে এটি সকালে বা বিকেলে খাওয়া উচিত। প্রতিদিন সকালে একটি ও বিকালে একটি করে পাতা খাওয়া উচিত। 

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার অনেক নিয়ম আছে তার মধ্যে হল মধুর সাথে মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন পাথরকুচির রস। আবার দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রস আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে বিকালে খেতে পারে। পাথরকুচির রস আবার রূপচর্চার জন্য আপনি সকালে ব্যবহার করতে পারেন। তেমন কোন বিশেষ নিয়ম নেই। আপনিও মাফিক এটি ব্যবহার করতে পারেন। 

আরো পড়ুন: টেলিগ্রাম অ্যাপ দিয়ে মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করার সহজ 7 টি উপায়

তবে এটি সকালে অথবা বিকালে ব্যবহার করাই ভালো। সকালে খালি পেটেও একটি বা দুইটি পাতা বা এক চামচ রস করে নিয়ে আপনি খেতে পারেন। ওরা বিকালে একটি বা দুইটি পাতা চিবিয়ে বা রস করে খেতে পারেন। বিশেষ নিয়ম নেই।

পাথরকুচির পাতা কি কি রোগের জন্য কাজ করে 

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পাথর পাথরকুচির পাতা বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে। এ পাতা খাওয়ার ফলে অনেক জটিল রোগ ভালো করা সম্ভব। পাথরকুচির পাতা দ্বারা যে সকল রোগ নিরাময় করা হয় তা দেওয়া হল 

  •  কিডনির পাথর অপসারণ :পাথরকুচির পাতা কিডনি এবং গলগুর পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে একটি ও বিকালে একটি করে প্রতিদিন খেতে হবে। পাথরকুচির পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খেতে হবে। তারপর পানি খেতে হবে। তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত কিডনির পাথর অপসারণ হয়ে গেছে।
  • পেট ফাঁপা: অনেক সময় দেখা যায় পেট ফুলে গেছে প্রসাব আটকে আছে সে ক্ষেত্রে একটু চিনির সঙ্গে এক বা দুই চামচ পাথরকুচির পাতার রস গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • মেহ: সর্দি জনিত কারণে শরীরে নানান স্থানে ফোড়া দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রস এক চামচ করে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়। 
  • রক্তপিও : প্রজনিত ব্যথার রক্তক্ষরণ হলে দুবেলা এক চামচ পাথরকুচির পাতার রস দুদিন খাওয়ালে সেরে যাবে। পাথরকুচির পাতা প্রিয় জনিত ব্যথার জন্য অনেক উপকারী। এটি খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে থাকে। প্রায় পাথরকুচির পাতা রস করে খেলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। 
  •  মৃগী: মৃগী রোগাক্রান্ত সময় পাথরকুচির পাতার রস দুই থেকে ১০ ফোটা করে মুখে দিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন সকাল বিকাল কয়েকদিন খেলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। মৃগী রোগের জন্য পাথরকুচির পাতা অনেক উপকারী। 
  • সর্দি: সুদী পুরান হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারী। পাথরকুচি পাতার রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সাথে একটু সোহাগার খৈ মিশাতে হবে। ৩ চামচের সাথে ২৫০ মিলি গ্রাম। তা থেকে ২ চা মুখ নিয়ে সকাল বিকালে দুবার খেলে পুরান সর্দি সেরে যাবে এবং সর্বদা কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। 
  • আমাশয়: আমাশয় থেকে মুক্তি পেতে পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন। পেটের কৃমি দূর করতে পাতার রস দিনে ২ বার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে করে আমার সাথে কি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবেন। এটি আম আসার জন্য অনেক উপকারিতা কাজ করে থাকে। 
  • ত্বক: পাথরকুচি পাতার রস গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন, এতে এলার্জির সমস্যা দূর হবে, ত্বকের উষ্ণতা ও অন্যান্য জন্তে খুব উপকারী। এ পাতার নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পাকা রোধ হয়। পাতার রস মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
  • ওজন: লেবুর রসের সঙ্গে পাথরকুচির রস মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য পায়ের তলা দেশে এই পাতা ব্যবহার করা যায়। পাতা শুকানো গুঁড়ো দিয়ে তৈরি চা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন। 

পাথরকুচি পাতার ব্যবহার নিয়ম

পাথরকুচি পাতায় ভেষজ উদ্ভিদ, যা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিরাময় করে থাকে। পাথরকুচি পাতা আমরা অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার  করতে পারি। অনেক অসুখ বিসুখ থেকে আমাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে পাথরকুচি ব্যবহার করে সুস্থ হতে পারি।

 প্রতিদিন সকালে পাথরকুচির পাতা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরে অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। পাথরকুচি পাতা প্রতিদিন সকালে ও বিকালে দুইটি করে খেলে আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

পাথরকুচি পাতার রস ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত তৃষ্ণা নিরাময়ের জন্য ভালো। প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় ৪০ থেকে ৬০ মিলি লিটার করে পান করুন। এছাড়া এ পাতার রস খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। 

আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম

পাথরকুচি পাতার রস ঠান্ডা নিরাময়ে উপকারী এছাড়া বুকে সর্দির জন্য তিনটি পাতা গরম করে রস করুন। এক চিমটি লবণ যোগ করুন। এভাবে প্রতিদিন খেতে থাকবেন দেখবেন যে ঠান্ডা নিরাময় হয়ে গেছে। পাথরকুচি পাতা ঠান্ডা নিরাময় অনেক উপকারী। 

পাথরকুচির পাতার শরীরের কোন ফোলা স্থানে পাতার পেস্ট লাগালে দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব। পাথরকুচির পাতা পেস্ট হিসাবে ব্যবহার করা যায়। আবার পাতার রস কানের ব্যথা জায়গায় লাগালে দুটো আরাম পাবেন। কারো জন্য পাথরকুচি পাতার রস অনেক উপকারী। পাথরকুচির পাতার রোগ নিরাময়ে প্রচুর ভূমিকা রাখে। আবার পাথরকুচি পাতা টনিক্স দূর করে থাকে। প্রতিদিন সকালে ক্রস করে খেলে খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় করা সম্ভব। 

পাথরকুচির পাতা রস মধুর সাথে মিশিয়ে পান করলে আমশায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমাশা রোগের এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন সকালে ও অথবা বিকালের রস করে খেলে খুব দ্রুত আমাশার রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়। পাথরকুচি পাতা আবার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। পাথরকুচি পাতার রস গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে তো অনেক সুন্দর হয়। শরীরে কোন এলার্জি থাকলে তা দূর করে। 

আবাল লেবুর রসের সঙ্গে পাথরকুচির রস মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। ওজনের জন্য পাথরকুচি পাতা অনেক ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন সকালে ও বিকালে নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই মানুষের দেহে পাথরকুচি পাতার রস ভূমিকা অপরিসীম। রোগ নিরাময় করতে চাইলে পাথরকুচির পাতা নিয়মিত রস করে পান করুন। 

খালি পেটে পাথরকুচির পাতা খেলে কি হয় 

ভয়ংকর রোগ হিসেবে ডায়রিয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা থাকলে এবং এর পাশাপাশি আপনার যদি কালেরা কিংবা টয়লেট করার সময় রক্ত বের হয় তাহলে এ ধরনের সমস্যা সমাধান আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেতে হবে। 

এটি খাওয়ার সব থেকে উত্তম কার্যকরী উপায় হল সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে থাকা কালিনীর সামান্য জিরা গুড়া করে নিয়ে একটু জিরার সাথে পাথরকুচি পাতা মিশ্রণ করবেন। তারপর এটি খেয়ে ফেলবেন। অনেক পাথরকুচি পাতা খালি ভাবে খেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে সামান্য চিনি অথবা লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। 

আরো পড়ুন: নরমাল ডেলিভারির জন্য কি কি ব্যায়াম ও খাবার খাওয়া উচিত

এখন সবচেয়ে আসল কথা হলো আপনার দেহে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন আপনার পেটে যদি কোন প্রকার গ্যাসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এক গ্লাস পানিতে নিয়মিত পাথরকুচি পাতা মিশিয়ে এটি পান করে নিবেন। তাহলে ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন।

পাথরের কচি পাতা জীবন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তেমন এর কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। তাই আমাদের উচিত পাথরকুচি পাতা খাওয়ার আগে তা ভালো করে নিয়ম কারণ জেনে নেওয়া। সব সময়ে খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেতে হয় না।

 কিছু কিছু অসুখ নিরাময়ের জন্য খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেতে হয়। তবে আমরা যদি খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খায় তাহলে কি উপকার হবে এবং কোন রোগে আক্রান্ত হলে আমরা প্রতিদিন খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খাব সেই বিষয়ে এখন আলোচনা করা হল

পাথরকুচি পাতার শরীরে পিত্তথলে কিংবা কিডনিতে পাথর বের করার জন্য বিশেষভাবে কাজ করে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত কিডনিতে পাথর বা পিওথলি পাথরের সমস্যায় ভুগেন তাহলে নিয়মিত খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেতে পারেন। খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে পিও থলি কিংবা কিডনির পাথর গোলে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। তাছাড়া বাচ্চাদের অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে সাহায্য করে। 

তাছাড়া বাচ্চাদের অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে সর্দি লেগে থাকে। এই সর্দি থেকে বাঁচিয়ে দেওয়া সুস্থ করার জন্য প্রতিদিন খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খাওয়াতে পারেন। এতে করে কিছুদিনের মধ্যে সর্দি সেরে যেতে পারে। খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর এবং তাড়াতাড়ি প্রভাব পড়তে শুরু করে। 

পাথরকুচি পাতার রস খেলে কি হয় 

পাথরকুচি গাছ একটি মহা ঔষধি গাছ। এটি রস বা জুস করে আমরা খেতে পারি। এটি জুস খেলে আমাদের অসুস্থতা নিরাময় করা সম্ভব। এটি একটি গুণসম্পন্ন গাছ। ইটের রস খেলে মূত্রনালী যে কোন সংক্রমণে রক্ত পেট ফাঁপা শিশুদের পেট ব্যথায় মৃগীর রোগে পাথরকুচির রস খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া বোন ক্ষত মাংসপেশী চিতলে গেলে বিষাক্ত পোকার আক্রমণ এ পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। 

প্রতিদিন সকালে পাথরকুচির রস করে খেলে আমাদের শরীরেও অনেক অসুখ নিরাময় করা সম্ভব। জিয়া আমার পাথরকুচির রস প্রতিদিন সকালে খেলে কিডনিতে পাথর হলে তার নিরাময় করা সম্ভব। প্রতিদিন সকালে বা বিকালে এটির রস খেলে আমাদের শরীর থেকে পাথর নিরাময় করা সম্ভব হয়। আবার পাথরকুচির রস প্রতিদিন সকালে বা বিকালে খেলে পেট ফাঁপা রোগ নিরাময় করা সম্ভব। 

আরো পড়ুন: ড্রাগন ফলের উপকারিতা

তবে প্রতিদিন সকালে পাথরকুচির রস খেলে পাইলস রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব। পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে পান রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার পাথরকুচির পাতার রস যদি ত্বকে লাগা যায় তাহলে ত্বক মসৃণ হয়। উপরের ত্বক দেখতে অনেক সুন্দর হয় চেহারা ফর্সা হয়। 

প্রতিদিন যদি পাথরকুচির রস খাওয়া হয় তাহলে উচ্চ রক্ত পাত জন্ডিস নিরাময় করা সম্ভব। প্রতিদিন সকালে বা বিকালে পাথরকুচির রস খেলে আমাদের শরীরে ও জন্য ঠিক রাখে। প্রায় প্রতিদিন সকাল ও বিকালে পাথরকুচির রস খেলে আমাদের শরীর ঠিক থাকে।

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক 

পাথরকুচি পাতা খাওয়াতে এমন কোন ক্ষতিকর দিক নেই। তারপরও আমাদের জেনে নেওয়া উচিত অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতা খেলে আমাদের শরীরে কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমাদের উচিত সবকিছু নিয়ম মাপে খাওয়া। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। তাই পাথরকুচি পাতা জীবন আমাদের বিভিন্ন প্রকার করে তেমনি অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। যেমন 

  • অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যাদের আগে থেকে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা পাথরকুচি পাতা নিয়ন্ত্রণে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 
  • অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ার ফলে মুখে পড়ে সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে অন্যান্য খাবারের প্রতি অনিহা তৈরি হবে। 
  • পত্রিকা পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। 
  • যাদের আগে থেকে পিত্ত থলিতে কোন প্রকার রোগে আক্রান্ত তারা পরিমাণ মত পাথরকুচি পাতা খেতে হবে। নয়তো পিত্তথলি সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত পাথরকুচির পাতার রস খেলে শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি দেখা দেবে। 

লেখকের শেষ কথা 

পাথরকুচির গাছ এটি একটি মহা ঔষধি গাছ। এই গাছের রস দ্বারা আমাদের অনেক ধরনের অসুখ নিরাময় করা সম্ভব। তবে আমাদেরকে জেনেশুনে এই গাছটি ব্যবহার করতে হবে। কাছে যেমন উপকার আছে তেমনি কিছু ক্ষতি দিক আছে। আমাদের আগে এই গাছ সম্বন্ধে সবকিছু জেনে তারপর ব্যবহার করতে হবে। 

তবে পাথরকুচি গাছ আমাদের ক্ষতি থেকে উপকার বেশি করে।তাই পাথরকুচির পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে আমাদের অনেক অসুখকে নিরাময় করা সম্ভব। তাই এটি আমাদের নিয়ম জেনে ব্যবহার করা উচিত।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url