মাক্সি পক্সে আক্রান্ত হলে কি করনীয় ও লক্ষণ দেখে বুঝার উপায়

মাক্সি পক্স রোগ হলে রোগীর জ্বর আসে পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফুসকুড়ি। এ রোগ হলে আমাদেরকে ভয় পাওয়া যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

                            

 এর রোগের লক্ষণগুলো হল শরীর ব্যথা কব্জি ফুলে যাওয়া পা ব্যথা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া মাথা ব্যথা জ্বর আসা এসব লক্ষণ দেখলে আমাদেরকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

সূচিপত্র: মাক্সি পক্সে আক্রান্ত হলে কি করনীয় লক্ষণ দেখে বোঝার উপায় 

যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি মাক্সি পক্সে আক্রান্ত

যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝা যায় মাক্সি পক্স হয়েছে সেসব লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর ১০১.৩° ফারেনহাইট মাথা ব্যথা, বেশি ব্যথা, পেটে ব্যথা, দুর্বলতা ফোলা, লসিকা গ্রন্থি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। লসিকা গ্রন্থের ফোলা, ভাব মাক্সি পক্সের একটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত লক্ষণ। সল পক্স ভাইরাস শ্রেণীর একটি ভাইরাস এর রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসটির দুইটি রূপান্তরিত ধরনের রয়েছে কলট এক মধ্য আফ্রিকান এবং কলার দুই পশ্চিম আফ্রিকান। এর রোগে প্রতি ১০০ জন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয় ।

প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় অধিকাংশ ঘটনা শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে শরীরের অন্যান্য অংশ ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা। মাক্সি পক্স রোগের জন্য এখানে সুনির্দিষ্ট কোন টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে সরল বক্স বস্তুতে জন্য ব্যবহৃত টিকা মাক্সি পক্স প্রতিরোধে ৮৫% কার্যকর। ততক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।

করোনা ভাইরাস আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ক্রমশ উদ্যোগ বাড়াচ্ছে মাক্সি পক্স। এভার্সটি আদর্ভাব ও তাই দুই বছর দুইবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকার পর এবার ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে মাক্সি পক্স এশিয়াতে সংক্রমণ দেখা গেছে। 

বিসকরা জানান এ ভাইরাস বাহক কেবল বানরই নয়, ইঁদুর ও । মাক্সি বক্স মূলত ছোঁয়াচে রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে গেলে এটি ছড়িয়ে পড়ে তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ত্বকের স্পর্শ কথা বলা বা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। 

বাতাস সংস্থা রয়টার্স এর তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১১০০ জন। এদের বাদে বেশিরভাগই শিশু। মাক্সি পক্সের সঙ্গে সরল পক্স মিল আছে। তবে মাক্সিপথ সংক্রমণ সাধারণত মূল হয়। বেশিরভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

মাক্সি পক্সের আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করার নিয়ম

মাক্সি বক্সের লক্ষণ দেখা গেলে নিঃসন্দেহে ভাজকদের যত যত দ্রুত সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হট লাইন ১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে এম পক্স, মেক্সিক বক্স ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি লিফট নোট ফুলে যাওয়া ও জ্বর হতে পারে।

মাক্সি বক্স মধ্য আফ্রিকার অঙ্গ বরুনডি রুয়ান্ডার উগান্ডা কেনিয়া সহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বলা হয় আপনার শরীরে কোন লক্ষণ দেখা দিলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে এলে অথবা সংক্রমিত দেশ ভবনে ২১ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন।  

মাক্সি পক্সের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চুয়ার মাথাব্যথা বেশি ব্যথা পিঠে ব্যথা দুর্বলতা ফোলা রসিকা গ্রন্থি ও ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। লসিকা গ্রন্থি ও ফোলা ভাব মাক্সি পক্স একটি বিশেষযুক্ত লক্ষণ।

এদিকে বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী এম পক্স বিস্তারের ব্যাপারে জরুরী স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। 

এতে বলা হয়েছে মাসি পক্স এক প্রকার সংক্রমণ রোগ। এর উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা হোর মতো এর রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে স্পর্শে এলে এমনকি শ্বাস প্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে আক্রান্ত হতে পারে।

মাক্সি পক্সের লক্ষণ থেকে নিজেকে সাবধান রাখার উপায় 

মাক্সি পক্স লক্ষণ দেখলে প্রথমে এর রোগের উপসর্গ পরীক্ষা করতে হবে। জ্বর কানতে গা ব্যথা রসিকা গ্রন্থি ফুলে যাও তোকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাকসি পক্সে উপসর্গ ও সংকমনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেখা যায়। যদি এ ভাইরাস আক্রান্ত কারোর সঙ্গে স্পর্শে আসেন তবে আগে থেকে আলাদা থাকা ভালো। তাতে বাকিদের মধ্যে সংক্রমনের ঝুঁকি কমবে। 

আলাদা থাকার সঙ্গে গোসলের গামছা তলে আলাদা করতে হবে। যতক্ষণ না পরীক্ষার ফল হাতে আসছে ততক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।

প্রবাল ঝড় হতে পারে মাক্সি পক্সের ফলে শরীরের ব্যথাও হতে পারে ত্বকে রাজ দেখা যেতে পারে। সেই রাস আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাল ফোড়ার মতো আকার ধারণ করতে পারে। হাত পা পায়ের পাতা মুখ এবং শরীরের নানা অংশ ছড়িয়ে পড়তে পারে এ রাস।

কভিটের মাঝে ছোঁয়া চেয়ে রোগ পশু থেকে মানুষের বা মানুষের থেকে মানুষের ছড়াতে পারে সংক্রমণ আক্রান্তের ক্ষত বা দেহ তরলের সংস্পর্শে আসা জামা কাপড় থেকেও কিন্তু ছড়াতে পারে মাক্সি পক্স।

মাক্সি পক্স বানর ছাড়া আরও যেসব পশু থেকে ছড়ায় 

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে প্রথম সংক্রান্ত হয়েছিল মাক্সি পক্স বা এম বক্স। এ মহাদেশের বরুন্ডি, উগান্ডা রুয়ান্ডা কেনিয়ার ছাড়িয়ে পৌছে গেছে ইউরোপের সুইডেন ও এশিয়ার পাকিস্তানের। সংক্রমনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের পর মাক্সি পক্স নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই সতর্কতা জারি করল।

মাক্সি পক্স নামটা শুনে বানরের কথা মনে হল ভাইরাসটি আসলে শঙ্কিত হয় ইদুর বন্য কুকুর কাঠবিড়ালি বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। সর্বপ্রথম এটি একটি বানরের শরীরে আবিষ্কার হয় বলে এমন নামকরণ। মধ্যপ পশ্চিম আফ্রিকায় এই রোগের পাদুর্ভাব বেশি।

 ত্বকের ফুচকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এ ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।

মাক্সি পক্স রোগ কিভাবে ছড়ায় 

সংক্রামিত ব্যক্তি সরাসরি যেকোনো ধরনের সংস্পর্শ জন্য মিলনের মাধ্যমে ব্যবহার করা কাপড় সই বা অন্যান্য জিনিসপত্রের মাধ্যমে আক্রান্ত পানি স্বীকার করা কাটা বা রান্না করার সময় কম তাপমাত্রায় আক্রান্ত পানির রান্না করা মাংস খেলে এমনকি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের থেকে তাদের অনাগত শিশুর কাছেও ভাইরাসটি যেতে পারে।

মাক্সি পক্ষের রোগের লক্ষণ 

এম বক্স প্রাথমিকভাবে পশুদের মধ্যে দেখা যায়। তবে ২০২২ সাল থেকে ব্যাপকভাবে মানুষের মধ্য এই রোগটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এ রোগের লক্ষণগুলো জীবাণু সংক্রমণের সাধারণ তিন থেকে ১৭ দিনের মধ্যে শুরু হয় এবং সাথে দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় তবে রোগীর দুর্বল রোগ প্রতিরোধ থাকলে তা আরো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। 

রোগীর লক্ষণ হলো জোয়ার মাথাব্যথা মাংসপেশিতে ব্যথা লিফট নোট ফুলে যাওয়া দুর্বলতা গলা ব্যথা কাশি এবং ত্বকে পানি ভর্তি ফোসকা। তবে এম বক্স ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে উপর স্বর্গ বিহীন থাকতে পারেন। 

আক্রান্ত ব্যক্তির ফোস করি হয় যা হাত পাবো মুখ লিঙ্গ অংক কোর্স ল্যাব বিয়া জনি মলদ্বার সহ যৌনাঙ্গের কাছাকাছি হতে পারে। ফুসকুড়ি প্রাথমিকভাবে পানি ভর্তি অস্কার মতো দেখাতে হয়। ফোসকা ব্যথা ও চুলকানি হয়।

মাক্সি পক্সের চিকিৎসা 

এর আগে কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। সাধারণত উপসর্গভিত্তিক, চিকিৎসা পরিচর্যা পুষ্টিকর খাবার এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ পেলে রোগীর দ্রুত ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শের জোয়ার মাথা ব্যাথা এবং পেশী ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এছাড়া রোগের তীব্রতা বেশি হলে অ্যান্টিভাইরাল টেকনো ভেরি ম্যাট, ওষুধ দেওয়া হয়। 

আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করে আইসোলেসনে রেখে খতনা শুকানো পর্যন্ত চিকিৎসা করা গেলে রোগ ছড়ানো আশঙ্কা কমে যায়। কোন কোন দেশে এবং যাদের ঝুঁকি বেশি তাদের গোষ্ঠী বসন্তের টিকা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই টিকা মাক্সি পক্সের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা প্রদান করে। 

ম্যাক্সি পক্সের রোগ প্রতিরোধ করার সহজ কিছু উপায় 

১। আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্পর্শে থেকে দূরে থাকতে হবে ব্যবহার করা কাপড় এবং অন্যান্য জিনিসপত্র স্পর্শ করা যাবে না। 

 ২। আক্রান্ত পানির সংস্পর্শে আশা থেকে বিরত থাকুন সংস্পর্শে এলে দুটো সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। 

 ৩।মাংস সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করে খেতে হবে 

৪। যদি রোগের লক্ষণ দেখা দেয় তবে অবিলম্বন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫। আক্রান্ত রোগীর সাথে মিলামিশা না করা। 

৬। আক্রান্ত রোগীর সাথে খাবার একসাথে না খাওয়া এবং খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। 

৭। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে সব সময় দূরে অবস্থান করা ।
৮। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা রুমে রাখা। 

৯। আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যাওয়া।

তবে বাংলাদেশে এখন এই রোগে আক্রান্ত কোনো রোগী সনাক্ত হয় ইনি তবে রোগটি সম্পর্কে সবাইকে জানানো এবং স্বাধীনতা বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url