নরমাল ডেলিভারির জন্য কি কি ব্যায়াম ও খাবার খাওয়া উচিত
akdreamid.com
20 Aug, 2024
নরমাল ডেলিভারি জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম অসুস্থ খাবার খেলে আমাদের নরমাল ডেলিভারি করা খুব সহজ হয়।
যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন ও সঠিক পরিমাণে খাবার যদি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ডেলিভারি করা অনেক সহজ হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করলে সিজারের পরিবর্তে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয়।
পোস্ট সূচিপত্র: নরমাল ডেলিভারির জন্য কি কি ব্যায়াম ও খাবার খাওয়া উচিত
করার অনেক সুবিধা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো সিজারের অপারেশনের প্রয়োজন কমে এ গিয়ে নরমাল ডেলিভারি সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনি শারীরিক ভাবে যতটা ফিট থাকবে আপনার জন্য গর্ব অবস্থায় পরিবর্তন গুলোর সাথে মানিয়ে নেওয়ার ততটা সহজ হবে।
আর গর্ভাবস্থায় ফিটনেস ধরে রাখার খেতে নিয়মিত ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করা নিয়ে পদ ও কার্যক্রম তাই আপনার বিশেষ কোনো স্বাস্থ্য জটিলতা না থাকলে গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার জন্য কোন ব্যায়ামগুলো উপকার হবে তা খুঁজে বের করে কিভাবে নিরাপদে ব্যায়াম করা যায় সেটা জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণতা ছাড়া যেসব বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যায়াম বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি সেগুলো মনে রাখতে হবে
এসব বিষয়ে পাশাপাশি গর্ব অবস্থায় ঘরে বসে নিরাপদ ব্যায়াম করার উপায় তুলে ধরা হয়েছে সেই সাথে ঘরে বসে করা যায় এমন সাতটি ব্যায়ামের নিয়ম ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে আর্টিকেল শেষের অংশে।
* কেন ব্যায়াম করবেন: গর্ভাবস্থায়ী শরীরচর্চা আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আরো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহায়তা করতে পারে। যেমন
# বেশি শক্তিশালী করে তুলার মাধ্যমে কোমর ব্যথা সহ গর্ভকালীন বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমানো
# কোষ্ঠকাঠিন্য পেট ব্যথা কমানো
# গর্ভকালীন জটিলতা কমানো যেমন গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ মোপিয়া ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
# ডেলিভারির সময় ফর্সা জাতীয় যন্ত্র বা ইনজেকশন ব্যবহারে প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে না।
# প্রসাবের পর দুধ তোর সুস্থ হয়ে উঠতে ও প্রস্রাব পরবর্তী বিষণ্ণতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
# শৈলের শক্তি ও কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেওয়া।
#মন মেজাজ ফুরফুরে রাখা ও ভালো মতো ঘুমাতে সাহায্য করা।
কিভাবে ব্যায়াম করা উচিত : আরবিক শরীরচর্চাকে অনেক কান্ড্রি ও বলে থাকে এ ধরনের ব্যায়ামে আপনার হাত পায়ের মতো বড় বড় পেশীগুলোতে নির্দিষ্ট ছন্দে নড়াচড়া করতে হয় ফলাহাট রেট বেড়ে যায় যেমন দ্রুত হাঁটা বাগানপাড়া সাঁতার কাটা নাচ ও সাইকেল চালানো। গর্ভাবস্থায় এ ধরনের ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন।
আরোবিক ব্যায়ামের পাশাপাশি আরও কিছু ব্যায়াম আছে যা মানসিক চাপ কমাতেও পিসির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যেমন ইয়োগাথি লাইট এস ফাইভ জিরো আপনার বডি এক্সারসাইজ। আপনি আরবিক ব্যায়ামের পাশাপাশি সপ্তাহে কয়েকদিনে সব ব্যায়ামও করতে পারবেন তবে আরও উত্তোলন জাতীয় কোন ব্যায়াম শুরু করার আগে গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কতক্ষণ ধরে ব্যায়াম করা উচিত: গর্ভবতী নারীদের জন্য সপ্তাহে ২.৫ ঘন্টা মাঝহারি তীব্রতার আরবিক শরীরচর্চা কে আদর্শ ধরা হয় আপনি সপ্তাহের পাঁচ দিন ৩০ মিনিট ধরে ব্যায়াম করলে লক্ষ মাত্রার বোঝাতে পারবে না আবার চাইলে দিনে দশ মিনিট ধরে কয়েক ভাগে ব্যায়াম করে নিতে পারেন এই রুটিনের পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার স্বচ্ছন্দের উপর।
কতখান তীব্র ব্যায়াম করা উচিত: গর্ভাবস্থায় সাদা সাদা মাথায় তীব্রতা ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয় মাঝারি তীব্রতার অর্থ হল অত্যন্ত এ মন্তব্যটা ব্যায়াম করার যে আপনার হার্ট রেট বেড়ে গিয়ে ঘামঝরা শুরু হয় তবে এই অবস্থাতেও যেন আপনি একটা পূর্ণ বাক্য বলে শেষ করতে পারে এটা মাথায় রাখতে হবে।
ব্যায়াম করতে গিয়ে যদি আপনার কষ্ট হওয়া শুরু হয় তাহলে হয়তো সে ব্যায়ামটি আপনার জন্য প্রয়োজন নয় সে ক্ষেত্রে ব্যায়ামের তীব্রতা কিছুটা কমিয়ে আনা প্রয়োজন হতে পারে সেই সাথে ব্যায়ামের বিশেষ সর্তকতা মাথায় রাখতে হবে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যায়াম করা বন্ধ করে দিতে দুটো গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এই সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
* আগে থেকে ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকলে কিভাবে শুরু করবেন: আপনার গর্ভধারণের আগে থেকে ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকলে কোন সমস্যা নেই বড় অবস্থায় নিশ্চিতে ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে দিয়ে শুরু করে সময়ের সাথে আপনার সহনশীলতা বাড়ান।
দিনে ৫-১০ মিনিট ব্যায়াম করা দিয়ে শুরু করতে পারেন এভাবে সপ্তাহে তিন চার দিন ব্যায়াম করুন তারপর আস্তে আস্তে সপ্তাহে 5 মিনিট করে ব্যায়ামের সময় বাড়ানো এভাবে ব্যায়ামের সময় তীব্রতা বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে নিয়ে আসুন যেন দিনে 30 মিনিট ধরে স্বচ্ছ ব্যায়াম করতে পারেনি সে ক্ষেত্রে ব্যায়ামের শুরু করার আগে একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে আপনার পরিকল্পনা আলোচনা করে নিলে সবচেয়ে ভালো হবে।
আগে কখনো ব্যায়াম না করে থাকলে হঠাৎ করে ব্যায়াম শুরু করা চেঞ্জিং হতে পারে এজন্য সহজ কিছু কাজ প্রতিদিন রুটি নিয়ে যোগ করতে পারেন বাজারে কিংবা দোকানে গেলে একটু বেশি ঘুরে হেঁটে আসার রাস্তাটি বেছে নিতে পারেন লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেছে নিন মূল কথা হলো ব্যায়ামের সব ধরনের উপকার পেতে প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং এটি নিয়মিত রুটিন এর মধ্যে নিয়ে আসুন।
* ভারী ব্যায়াম করা যাবে কি : আপনার যদি গর্ভধারণের আগে থেকে নিয়মিত ভারী প্রেমের অভ্যাস থাকে তাহলে গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেগুলো চালিয়ে যেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে যে গর্ভকাল বার সাথে সাথে আপনার সব ক্ষমতা কমে আসবে তাই আপনার জন্য যতটুকু ব্যায়ামসহ নিয়ে ততটুকুই করবে অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না এতে আপনার আঘাত পাওয়া সম্ভাবনা থাকে
এছাড়া অনেক ভারী ব্যায়াম করলে গর্ভকালীন মাস অনুযায়ী আপনার যতটুকু ওজন থাকা প্রয়োজন তার চেয়ে ওজন কমে যেতে পারে এমন খেতে আপনার খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়াতে হতে পারে।
গর্ভ অবস্থায় জন্য কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম:
গর্ভাবস্থায় নিয়ে পদে করা যায় এমন কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম হলো
# পেটের পেশী শক্তি করার ব্যায়াম।
# পিঠ ও কোমরের বেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম।
# ভারসাম্য ঠিক রাখার ব্যায়াম
# কে গেল এক্সারসাইজ বাই পেলভিক ৪ এক্সারসাইজ
# পেলভিক টিলট
# পায়ের ব্যাম ও হাতের ব্যায়াম।
গর্ভাবস্থায় নিরাপদে ব্যায়াম করার কিছু উপায়:
গর্ভাবস্থায় নিরাপদে ও সহজে ব্যায়াম করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় বা পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
যা করবেন
# ব্যায়ামের আগে সব সময় ওয়াপ করে বা গরম করে নিবেন গা। এবং ব্যায়াম শেষে শরীরকে ঠান্ডা হওয়ার সময় নিবেন এ ক্ষেত্রে ব্যায়ামের আগে ও পরে পাঁচ মিনিট ধরে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন সেই সাথে হাত পাক আরো কোমর নাড়াচা বা স্টিচিং করে নিতে পারেন।
# গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে প্রথম তিন মারতে গিয়ে ব্যায়াম করার সময় গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া প্রতিরোধ যা করবেন
খুব গরম সিদ্ধার সাথে কিংবা ঠিকমতো বাতাস চলাচল করে না এমন জায়গায় ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলবেন বিশেষ করে গরম আবহাওয়া খুব ভারী ধরনের ব্যায়াম করবেন না বাতাস চলাচলের উপরে এবং সহনীয় তাপমাত্রা জায়গা বেছে নিন সম্ভব হলে বাসার ভিতরে অথবা কোন ঠান্ডা পরিবেশ করুন।
ব্যায়ামের সময় হাতের কাছে পানির বোতল পাবেন পানি শূন্যতা প্রতিরোধে ব্যায়ামের আগে পরেও ব্যায়াম করার ফাঁকে পানি খেয়ে নিন।
ঢিলা ঢালা ও আরামদায়ক জামা কাপড় পড়ে ব্যায়াম করুন।
# ব্যায়ামের সময়ে ভালো সাপোর্ট দেয় এমন আরামদায়ক জুতা বা স্পোর্টস পড়বেন। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে পেটের গল্প অবস্থার জন্য তৈরি বিশেষ সিলেট পড়লে তা হাটাও দৌড়ানোর সমাবস্থিতি কমাতে সাহায্য করতে পারে উল্লেখ্য জামা জুতা বেছে নেওয়ার সময় যেন কাপড়ের অংশ জুতার ফিতা ঠিকমতো বাঁধা থাকে এবং পরে যাওয়া কোন সম্ভাবনা না থাকে খেয়াল রাখবেন।
# কাঠের ফর অথবা কাপের বিছানো পড়ে ব্যায়াম করুন এতে পা পিচ ফেলতে অসামান্য ধরে রাখতে সুবিধা হবে, প্রয়োজনে এটি ইগুগা ফ্যাট কিনে নিতে পারেন ব্যায়াম করার সময় এমন জায়গা বেছে নিন যেন পা ফসকে কিংবা কোন কিছু পায়ে লেগে পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা না থাকে জিমে গিয়ে ব্যায়াম করলে কোথাও যন্ত্রপাতি আছে তা দেখে সাবধানে চলাফেরা করুন।
গর্ভাবস্থায় যে সকল কাজ করা যাবে না
১/লাভ অথবা হঠাৎ করে দেহ ভঙ্গি পাল্টাতে হয় এমন ব্যায়াম করবেন না এগুলো আপনার জয়েন্টে চাপ ফেলে ব্যাথা-বুদ্ধি করতে পারি।
২। দুই পাই ক্ষেত্রে উঠাতে অথবা নামাতে হয় এমন ব্যায়াম সিট আপ বা হাঁটু গে মাটিতে পুরোপুরি বসে আবার দাঁড়িয়ে যাওয়ার ব্যায়াম ও হাঁটু বেশি ভাজ করার ব্যায়াম করবেন না। এছাড়া বসে 5 রোজা রেখে হাতের আঙ্গুল দিয়ে পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করার ব্যায়াম থেকে বিরত থাকবেন।
৩। ফোরে শুয়ে থাকবা কিংবা বাসা অবস্থায় থেকেও হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে যাবেন না ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াবেন না তা না হলে দাঁড়ানোর পরে মাথা ঘুরতে পারে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরে কিছুক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকুন।
৪। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ভারত ভারতদ্বলনের মতো ব্যায়াম করবেন না। আপনার শারীরিক অবস্থা এবং আপনি কোন তীব্রতায় ব্যায়াম করে অভ্যান্ত এমন কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডাক্তারের আপনার জন্য ভারোত্তোলন দলনে মাত্রা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।
গর্ব অবস্থায় যে সকল ব্যায়াম করা যাবে না
গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত সেটি হল স্বাভাবিক সক্ষমতার বাইরে ব্যায়াম করা উচিত নয় আপনার যদি আগে থেকে শরীর চর্চা পাওয়া অভ্যাস না থাকে তাহলে হঠাৎ করে তীব্র শারীরিক প্রশ্রত শুরু না করে অল্প অল্প করে অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ব্যায়াম করার সময় যদি আপনার স্বাভাবিকভাবে একটি পূর্ণ বাক্য বলে শেষ করতে কষ্ট হয় তার অর্থ আপনি হয়তো আপনার সব ক্ষমতা অতিরিক্ত কশরত করেছেন।
গর্ভাব অবস্থা অধিকাংশ ব্যায়াম নিরাপদে করা সম্ভব হলো কিছু ব্যায়াম আপনার ও গর্ভের শিশুর জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ধরনের চলা উচিত ।যেমন
১। যেমন খেলার প্রতিপক্ষের সাথে হাতাহাতির সময় শরীরে বিশেষ করে পেটে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেমন ফুটবল, বাস্কেটবল, হকি , কুস্তি, বক্সিং, তাই করোন্দ ও কারাতে।
২। আগে থেকে অভ্যাস না থাকলে গর্ভাবস্থায় লাফাতে হয় অথবা পুরুষ হয়ে ঝাঁপনি খায় এমন কোন ব্যায়াম বা খেলা এড়িয়ে চলা উচিত যেমন রকেট ব্যাডমিন্টন ও টেনিস। এতে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে আগে থেকে এসব খেলার অভ্যাস থাকলে শরীরের বদলে যাওয়া ভারসাম্যর বিষয়টি মাথায় রেখে সাবধানে খেলা উচিত।
৩। যেসব মেম্বার শরীরচর্চা পড়ে গিয়ে পেটে ব্যথা পাওয়া সম্ভাবনা থাকে এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল মাটি থেকে অনেক উঁচুতে হয় কিংবা উঁচু স্থান থেকে লাফ দিতে হয় এমন কোন শরীর চর্চা । যেমন, জিম নেটটিক্স, ডাইভিং, বাঞ্জি জাম্পিং,পাকা রাস্তা ছাড়া অন্য কোথাও সাইকেল চালানো।
৪। যে সব ব্যায়ামে অনেকক্ষণ চিত হয়ে সুয়া প্রয়োজন বিশেষ করে গর্ভধারণের 16 তম সপ্তাহে পেটে পরে পেটের আকার যখন বড় হতে থাকে তখন বাড়ন্ত পেট নিয়ে চিত হয়ে বেশিক্ষণ শুয়ে থাকলে তা শরীরে রক্ত নাই এগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করে চলাচল বাধা তৈরি করতে পারে এছাড়া অনেক অনেক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে হয় এমন কাজেও এ সময় এড়িয়ে চলা উচিত।
৫। যেসব ব্যায়াম্বা খেলাধুলা শরীরে তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায় সেগুলো পর্ব অবস্থায় জন্য নিরাপদ নয় যেমন ইয়োগা এমন খুব গরম পদ্ধতি কিংবা ঠিকমতো বাতাস চলাচল করে না এমন জায়গায় ব্যায়াম করাই দিয়ে চলা উচিত।
এর কারণ হলো পারিপার্শ্বিকত বা আপনার শরীরে স্থাপনা অনেক বেড়ে গেলে তা গর্ভের ক্ষতি করতে পারে বিশেষ করে প্রথম যখন শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো প্রাথমিক কাঠামো তৈরি হয় শিশুর জন্মগত দুটি কারণ হতে পারে।
৬। সৌমেন্দ্র বা পানির নিচে ঝাঁপ দিতে হয় এমন শরীরচর্চা যেমন ডিসকোভা ডাইভিং গর্ভ অবস্থায় নিরাপদ নয় কারণ এতে গর্বের শিশু সিকনেস নামক জটিলতার ঝুঁকিতে থাকে এক্ষেত্রে শিশুর মস্তিষ্কের প্রয়োজন সমস্যা দেখা দিতে পারে তাছাড়া গর্ভের শিশু রক্তের গ্যাস ঢুকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
গর্ভ অবস্থায় ব্যায়াম করার বিশেষ সতর্কতা:
কজন সুস্থ স্বাভাবিক গর্ভবতী ব্যায়াম করতে সাধারণ কোন বাধা নেই তবে আপনি যদি নির্দিষ্ট কিছু রোগ কিংবা গর্ভকালীন জটিলতা ঝুঁকিতে থাকেন তাহলে সব ধরনের আপনার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে দুটো হাটা সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা পরামর্শ দিতে পারেন। এমন কিছু জটিলতা হল
হৃদপিসি ও ফুসফুসের কিছু রোগ।
গুরু তোর রক্তশূন্যতা।
জলবায়ু মুখে কোন দুর্বলতা কিংবা অস্বাভাবিকতা যেমন জলবায়ুর ওজন ঠিকমত ধরে রাখতে না পারা অথবা প্রসবের সময়ের আগে জল বায়োমুখ খুলে যাওয়ার প্রবলতা।
গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ অথবা পি একালম্পসিয়া।
যোনিপথের রক্তপাত।
গর্ব অবস্থায় 26 তম সপ্তাহের পরে প্লাসেনটা পিভিয়া নামক গর্ভফুল সংক্রান্ত জটিলতা হওয়া। এক্ষেত্রে প্যারােন্টটা বা গর্ভ ফুল তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নিচে নেমে জড়বায়ুর মুখের কাছাকাছি চলে আসে যা মা ও গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সময়ের আগে প্রস্রাব হয়ে যাওয়া ঝুমকি ঢাকা যেমন গর্বের জমজ শিশু ধারণ করা।
অকাল প্রস্রাব অর্থাৎ প্রসবের নির্ধারিত সময়ের আগেই পানি ভেঙ্গে যাওয়া।
আপনি এ ধরনের কোন জটিলতায় ভুগলে ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এছাড়া আপনি বিশেষ করে জটিলতা ঝুঁকিতে আছেন কিনা জানতে নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ করানো জরুরী।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষণ : গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করার সময় নিচে যে কোন লক্ষণ দেখা দিলে ব্যায়াম করা বন্ধ করে দ্রুত গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মাথা ঘুরানো অথবা অজ্ঞান হয়ে যাবেনে মন মনে হওয়া
যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত অথবা পানির মত তরল বের হওয়া
বুকে ব্যথা অথবা ব্যায়াম করার আগে থেকে শ্বাসকষ্ট হওয়া।
কাফ মাসলে হইলে অর্থাৎ হাটুর নিচেও পায়ের পিছনে দিকে ব্যথা বেশিতে ব্যথা হওয়া অথবা ফুলে যাওয়া।
মাথা ব্যথা হওয়া
গর্বের শিশু নড়াচড়া কমে যাওয়া
নিয়মিত বিরতিতে পেটে প্রসাব বেদনার মত ব্যথা হওয়া বা কামড়ানো।
গর্ভাবস্থায় ঘরে বসে সহজ কিছু ব্যায়াম করার উপায় :
এখানে এমন কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম তুলে ধরা হয়েছে যা আপনারা বেশি শক্তিকে শক্তিশালী করে গর্ভাবস্থায় অতিরিক ওজন বহনের সহায়তা করে সেই সাথে রক্ত চলাচল উন্নত করে জয়েন্টের শক্তি বাড়ায় ব্যথা কমায় ওর সব মিলিয়ে অসুস্থ বোধ করতে সাহায্য করে।
পেটের পিসির ব্যায়াম: গর্বের শিশুর আকারে বারার সাথে সাথে আপনার পেট ও সমান সামনের দিকে বাড়তে থাকে। সেই সাথে কোমরে জায়গাটুকু আরো বাদ দিয়ে যেতে পারে ফলে কম ব্যথা হতে পারে এই ব্যথা কমানোর জন্য এই ব্যায়ামটি করা যেতে পারে।
১। প্রথমে ছবির মত বক্স পজিশনে যান অর্থাৎ চার হাত পা এমনভাবে মাটিতে রাখুন যেন
১। হাঁটুর কোমর বাবার থাকে।
২। হাতের তালু কাঠ বরাবর থাকে।
৩। আঙ্গুলগুলো সামনের দিকে থাকে।
৪। পেটের বেশি টান টান অবস্থায় থাকে।
৫। পিট সোজা ও মেঝের সমান্তরালে থাকে।
২। এবার পেটের পেশীকে যত সম্ভব টানটান করে পিঠের দিকে নিয়ে আসুন এরপর শরীরে উপরে ভাগ খানিকটা ঝাঁকে বিয়ে পীঠ উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন আপনার ঘাড় বা মাথা রিলাক্স করুন এতে মাথা আলতো ভাবে কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে তবে খেয়াল রাখবেন যেন হাতের কোন একদম সোজা হয়ে টানটান হয়ে না যায়।
৩। পেটের বেশি টাকা রেখে এই অবস্থাটি কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন তারপর ধীরে ধীরে পেট নিচে নামিয়ে পূর্বের মত বক্স অপশনে গিয়ে আসুন এই সময়ে খেয়াল রাখুন যেন পেটের ওজনে পিঠ বেশি বাঁকা না হয়ে যায় ব্যায়াম শেষে ঠিক সব সময় সোজা অবস্থায় আনতে হবে।
৪। এভাবে ১০ বার আস্তে আস্তে পেট সাবধানে উপরে তুলুন আর সোজা করুন প্রতিবারই পেটের পিসি টান টান করে রাখার চেষ্টা করুন।
উল্লেখ্য পিঠে ব্যথা থাকলে সাবধানে পিঠ উঠানো চেষ্টা করবে যত দুর পর্যন্ত উঠাতে কষ্ট না হয় ততটুকু উপরে তুলবেন ।
ডেলিভারি চাইলে কি করবে :সবাই চায় নরমাল ডেলিভারি করতে এবং সবারই চাওয়া-সন্ধান টা যেন সুস্থ হয়ে পৃথিবীতে আসে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার নবজাতক পৃথিবীতে আলো দেখুক সব নারী চান। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হয় না। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হয়।
নরমাল ডেলিভারি করতে চাইলে কি করনীয় সে সম্পর্কের বিস্তারিত জানিয়েছেন কি আর এইচ এস জেনারেল হাসপাতালে ফ্যাটিলিটি কোন সাইলেন্ট ও গাইনোলজিস্ট ডক্টর হাসনা হোসেন আখি।
প্রেগনেন্সি হতে হবে পূর্ব পরিকল্পিত
এক্ষেত্রে জটিলতা কম হয়। সবকিছু নিয়ে দিতে থাকে। গর্ভধারণের তিন মাস আগে থেকে গাইনোলজিস্ট এর শরণার্থ হতে হয়। এর সময় তার শারীরিক অবস্থা জানা যায় গর্ভধারণের কোন জটিলতা আছে কিনা সেগুলোর নির্ণয় করা হয়। এবং চিকিৎসাও দেওয়া যায় ফলের গর্ভধারণের জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।
সঠিক বয়সের গর্ভধারণ : মেয়েদের গর্ভধারণের উপযুক্ত বয়স হচ্ছে ২০ থেকে ৩৫ বছর ।এ সময় জটিলতা কম হয় এবং নরমাল ডেলিভারি সহজ হয়।
উপযুক্ত বি এম আই : উচ্চতা এবং ওজন নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সঠিক বিএমআই থাকলে নরমাল ডেলিভারি সহজ হয়।
নিয়মিত এন্টিনেটাল চেকআপ : নিয়মিত এন্টিনেটাল চেকআপ রোগীর ওজন পেশায় হিমোগবিন ব্লাড সুগার বাচ্চার মুভমেন্ট বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি সবকিছু দেখা যায়। এর ফলে কোথাও কোন প্রত্যাহার হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শরীরচর্চা: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ইয়োগা বা ও বিদিং এক্সারসাইজের মাধ্যমে নিজেকে ফিড রাখা জরুরি ফলে গর্ভবতীরালেবার পেনের তীব্রতা কে সহ্য করতে পারে বিশেষ করে বিদ্দিং এক্সারসাইজ এবং ইয়োগা নরমাল ডেলিভারির জন্য কার্যকারী একটি পদ্ধতি।
সুষম খাদ্যবাস: পুষ্টিকরণ সুষম খাদ্য বাসের মাধ্যমে শরীরের শক্তি সঞ্চয় করে রাখা যায় রে বিশেষ করে হিমোগবিন সঠিক পরিমাণ রাখা এবং পানশক্তি বজায় রাখা নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রয়োজন।
আনুষিক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা : গর্ভাবস্থায় অনেকের নতুন উপসর্গ তৈরি হয় যেমন ডায়াবেটিস হাই ব্লাড পেশার এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি এগুলো নিয়ন্ত্রণ না রাখলে নরমাল ডেলিভারি করা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
গর্ভকালীন জটিলতা থেকে মুক্তি থাকা: গর্ভাবস্থায় অনেক ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে যেমন গর্ব ফুল নিচে থাকা বাচ্চার ওজন কম থাকা হঠাৎ করে পানি ভেঙ্গে যাওয়া এসব সমস্যা থাকলে নরমাল ডেলিভারি করা যায় না।
মনোবল ঠিক থাকা: নরমাল ডেলিভারির জন্য মানসিকান্ত জরুরী বিশেষ করে ডেলিভারির ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
ব্যথা মুক্ত নরমাল ডেলিভারি: ইপিডুরাল এনাল্জে এশিয়ারের মাধ্যমে খুব সহজে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব যদি একটু ব্যয়বহুল বাংলাদেশের বড় হাসপাতালগুলোতে ব্যথা মুক্ত নরমাল ডেলিভারি ব্যবস্থা আছে।
নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে করণীয় :
গর্ব অবস্থায় ও প্রস্রাবের সময় এমন অনেক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে যে কারণে গর্ভে শিশুকে সিজারের মধ্যমে ডেলিভারি করানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এমন অনেকগুলো জটিলতার পিছনে রয়েছে কিছু পরিচিত ও প্রতিরোধ যোগ্য কারণ।
এসব কারণের মধ্যে অন্যতম হলো গর্ভধারণের আগে মায়ের অতিরিক্ত ও জন্য গর্ভ অবস্থায় দ্রুত ওজন ওজন বাড়ে,৩৫ বছর বয়সের পরের গর্ভধারণ ডায়াবেটিস তথ্য রক্তের সুগার বেশি থাকা ধূমপান ও গর্ভবতী উচ্চ রক্তচাপ।
জীবন ধারায় সহজ কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এসব কারণ অনেক অংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। এতে জটিলতা ঝুঁকি কমে ফল সিজারের প্রয়োজন হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। এভাবে নির্ধারণ নিয়ে বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণের রাখলে তা নরমাল ডেলিভারি সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
এখানে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়ানোর এবং নিরাপদ ডেলিভারির সহায়তা করার জন্য কিছু কার্যকর উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যারা গর্ব অবস্থায় ব্যায়াম করেন তাদের নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, সিজার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে ডেলিভারির প্রয়োজন কম হয় সেই সাথে সময়ের আগে সন্তান প্রসব হওয়া ও কম ওজনের শিশুর জন্মদানের ঘটনা কমে আসে।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা গর্ভ অবস্থা অতিরিক্ত ওজন ভাড়া প্রতিরোধ করে। অতিরিক্ত ওজন বাড়লে গর্বের শিশু আকারে বেশি বড় হওয়ায় এবং সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নরমাল ডেলিভারি সম্ভাবনা বাড়ানোর পাশাপাশি গর্ভ অবস্থায় ব্যায়াম করলে আরো কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন--
১। বেশি শক্তিশালী করে তোলার মাধ্যমে কোমর ব্যথার সহ গর্ভকালীন বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমানো।
২। কষ্টকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা কমানো।
৩।শরীরের শক্তি ও কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া।
৪। মন মেজাজ ফুরফুরে রাখা।
৫। ভালোমতো ঘুমাতে সাহায্য করা।
গর্ভবতী নারীদের জন্য সপ্তাহে ২.৫ ঘন্টা মাঝহারি তীব্রতা আরবিক শরীরচর্চা কে আদর্শ ধরা হয়। যেমন দুটো হাটা বাগান করা সাঁতার কাটা নাচ ও সাইকেল চালানো।
গর্ভাবস্থা আপনার পছন্দমত এমন যেকোন ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এছাড়া আগে থেকে ভারী ব্যায়াম করা অভ্যাস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটাও চালিয়ে যেতে পারেন।
আপনি সপ্তাহে 5 দিন 30 মিনিট ধরে ব্যায়াম করলে লক্ষ্যমাত্রাতে পারবেন। আবার চাইলে দিনে দশ মিনিট ধরে কয়েক ভাগে ব্যায়াম করে নিতে পারেন। এই রুটিনের পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার স্বাস্থ্যের উপর।
আপনার গর্ভধারণের আগে থেকে ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকলে কোন সমস্যা নেই। গর্ব অবস্থায় নিশ্চিত ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শুরু করে সময়ের সাথে আপনার সহনশীলতা বাড়ান।
সহজ কিছু কাজ প্রতিদিনের রুটিনের যোগ করতে পারেন। যেমন বাজারে কিংবা দোকানে গেলে একটু বেশি ঘুরে হেঁটে যাওয়ার রাস্তাটি বেছে নিতে পারেন। পরিবর্তে সিঁড়ি বেছে নিন মূল কথা হলো, ব্যায়ামের সব ধরনের উপকার পেতে প্রতিদিন একটু একটু করে শরীর চর্চা পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন এবং এটি নিয়মিত রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসুন।
তবে এ সময় নতুন করে ভারী ধরনের কোন ব্যায়াম শুরু না করাই ভালো। সেই সাথে যেমন এক্সারসাইজ করলে আপনার পড়ে যাওয়ার অথবা আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি থাকে যেমন বক্সিং, ব্যাডমিন্টন ও ক্যারাতে সেগুলো এর সময়ে এড়িয়ে চলবেন।
গর্ভাবস্থায় ঠিক কোন ধরনের এক্সারসাইজ গুলো আপনার জন্য নিরাপদ তবে তা আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নির্ধারণ করে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
গর্ভধারণ করলে যে আপনাকে দুজনের পরিমাণ খাবার খেতে হবে এমনটা নয়। স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অস্বাস্থ্য কর, অতিরিক্ত চিনি ও তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যতটা সম্ভব বাদ দিয়ে। দিন আপনার জন্য সঠিক পরিমাণ সুষম খাবার খান। প্রচুর পানি পান করুন পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল খান।
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে হয়ত বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না তবে এর পরের মাসগুলোতে আপনাকে স্বাভাবিক সময় তুলে কিছুটা বেশি খাবার খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় পানি যতটুকু অতিরিক্ত খাবার খাবেন সেটি খাবারের সাথে হিসাব করা যায়।
একজন স্বাভাবিক ওজনের গর্ভবতী দ্বিতীয় অতি মাসিক প্রথম মাস থেকে প্রতিদিন পায় ৩৪০ গ্যালারি পরিমান অতিরিক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে একজন স্বাভাবিক ওজনের গর্ভবতীকে তৃতীয়তি মাসিক অন্যান্য সময় তুলনা অতিরিক্ত পায় ৪৫০ গ্যালারি খাবার খেতে হবে।
তবে আপনার ওজন কম বেশি হলে আরেকটু বেশি কম পরিমাণে অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে। জমজ শিশুর গর্ভধারণ করলে হিসাবে কিছুটা ভিন্ন হবে।
প্রয়োজনে মাফিক পুষ্টিকর খাবার খেলে আপনার গর্ভকালীন বাড়তি ওজন স্বাভাবিক সীমার মধ্যে থাকবে। গর্ভকালীন চেকআপের সময়ে আপনি কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন সে বিষয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপে যাওয়া
গবেষণা দেখা গিয়েছে এবার অবস্থা নিয়মিত চেপে গিয়েছেন এমন নারীদের তুলনায় যারা আছে তাদের অনিয়মিত ছিলেন তাদের গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা আক্রান্ত হয় ঝুঁকি বেশি। এসব জটিলতার সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি সহ প্রসাবের সময়ে সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপে গেলে গর্ভবতী ও গর্ভের শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধরে ফেলে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। এভাবে নিয়মিত চেকআপ নরমাল ডেলিভারির সম্ভাব্য করতে পারে।
শুধু তাই না চেকাবের কারণে গর্ভধারণের প্রসব সংক্রান্ত জটিলতা মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার বর্তমানে অনেক কমে এসেছে। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের প্রতি লাখে মৃত্যু হার্ট ছিল ৫৮১ যেটা ২০১৭ সালে নেমে এসেছে ১৭৩ এ।
এভাবে আগে তুলনা মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। ১৯৯০ সালে যেখানে হাজারে ৬৫ নবজাতক শিশু মারা যেত তা ২০২০ এ কমে এসেছে ১৭ তে। এই মৃত্যুহার এতখানি কমে আসার পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নিয়ম চেকআপ।
গর্ভধারণের পর যত দ্রুত সম্ভব আর ইঞ্চি শুরু করা প্রয়োজন যে কোনো অবস্থাতে ১২ তম সপ্তাহের আগে আপনার প্রথম চেকআপ করিয়ে ফেলতে হবে। তাই আপনি যে গর্ভবতী সেটি জানার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
ডাক্তার আপনার ও গর্বের শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভিডিওতে আপনার জন্য ব্যক্তিগত একটি পরিকল্পনা তৈরি করে দিতে পারেন এই পরিকল্পনা অংশ হিসেবে গর্ভকালীন সময়ে আপনার চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া কেমন হবে সে বিষয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া আপনার ও গর্ভের শিশু সুস্বাস্থ্য গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরামর্শ দেওয়া হবে। এ পরিকল্পনা অংশ হিসেবে গর্ভকালীন সময়ে আপনার চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া কেমন হবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
সঠিক মাথায় ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা
মা ও গর্ভের শিশু সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গর্ব অবস্থায় সঠিক মাথায় ওজন বৃদ্ধি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক লক্ষ্য মাত্রায় তুলনায় ওজন বৃদ্ধির হার কম কিংবা বেশি হলে সেটি মা ও গর্ভে শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এভাবে জটিলতার কারণে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি ও শিশু জন্মের পরে বিশেষ মুহূর্তের চিকিৎসা প্রয়োজনীয় বেড়ে যেতে পারে এমনকি শিশুর জন্মের বহু বছর পরেও এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে যেতে পারে।
গর্ব অবস্থায় কতটুকু ওজন বাড়লে তামা ওর গর্ভে শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে সে হিসাবটা কয়েকজনের ক্ষেত্রে এরকম।গর্ভধারণের আগে মায়ের ওজন ও শারীরিক গঠন কেমন ছিল তার উপর ভিত্তি করে গর্ভকালীন শিশু বৃদ্ধির লক্ষ্য মাত্র অনেকটা কম বেশি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে নিয়মিত নিজের ওজন মাপুন। এতে করে আপনার ওজন কি হারে বাড়ছে সে সহজে বুঝতে পারবেন। যদি প্রতি সপ্তাহে ওজন মাপেন তাহলে সপ্তাহের একটা নির্দিষ্ট দিন ও সময় বেছে নিতে পারেন। যেমন প্রতি শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রস্রাব করার খালি পেটে মারতে পারেন।
আপনার জন ঠিকঠাক মত বাড়ছে কিনা সে বিষয়ে গর্ভকালীন চেকআপের সময়ে ডাক্তারের মতামত নিন। ওজন বৃদ্ধিতে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে খাতার তালিকা ও ব্যায়ামে নিয়ে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে আপনার জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করে নিন।
মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকা
গর্ভাবস্থা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের ভিতর দিয়ে যায়। এর মধ্যে যতটা সম্ভব মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। এই কাজটা সব সময় সহজ হয় না। অনেক বেশি চাপের মধ্যে থাকলে তা আপনারও গর্ভে শিশুর স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন ধরনের অস্বাস্থ্যকর হতে পারে।
এ সময় মানুষকে অবস্থা নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে খোলাখুলি ভাবে কথা বলুন। আপনজনদের সাথে চাপ ভাগাভাগি করে নিতে তারপর সহজ হতে পারে সেই সাথে ডাক্তার পরামর্শ নিন।
ইয়োগা বাদ যোগ্য ব্যায়াম, শ্বাসের ব্যায়াম করুন। ডাইরি লিখতে পারেন পছন্দের গান শুনতে পারেন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাকে বল আপনার গর্ব অবস্থায় নয়, বরং ডেলিভারির সময় সাহায্য করতে পারে।
গর্ভকালীন বিশেষ স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলা
এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে---
১। গর্ভধারণের পরিকল্পনা শুরু করার পর থেকে নিয়মিত আয়রন ফলিক এসিড খাওয়া।
২। কাজের জায়গায় একটানা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে না থাকা এবং ভারী জিনিস বহন করা এড়িয়ে চলা।
৩। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া।
৪। রাতে সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা।
৫। গর্ব অবস্থায় বিপদচিত্র গুলো জেনে রাখা এবং কোনোটি দেখা দিলে দুটো হাসপাতালে যাওয়া।
৬। অতিরিক্ত ক্যাফেন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলা। গর্ভকালীন সময় দৈনিক ২০০ কিলোগ্রামের বেশি ক্যাফেন জাতীয় খাবার অথবা পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলবেন। সাধারণত দুই কাপ কফি কিংবা দুই থেকে তিন কাপ চায়ের এই পরিমাণ কাফি থাকতে পারে।
কে গেল এক্সারসাইজ করা
আমাদের দুই পায়ের মাঝখানে একটা বেশি বহর পর্দার মতো অংশ থাকে। একে পেনভিক ফোর বলা হয়। এটি জরায়ও মুত্রনালী ও নারীকে কে সঠিক স্থানে ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় বাড়ন্ত জলবায়ুকে সাপোর্ট দেয়।
প্রসাবের সময় এর বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন কারনে প্রেমিক ফোরের বেশি দুর্বল হয়ে গেলে হাঁচি-কাশি অথবা চাপ দিয়ে মত ত্যাগ করার সময় কয়েক ফোঁটা প্রসাব বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা সহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। নরমাল ডেলিভারির পরে অনেকেই এই সমস্যা দেখা দেয় আগে থেকে নিয়মিত পেলভিক ভোরের ব্যায়াম করলে তা এ ধরনের সমস্যায়রাতে সাহায্য করে।
পেলভিক ফোরের ব্যায়াম অনেকের কাছে কোকেন এক্সারসাইজ বাট পেলভিক ফর এক্সারসাইজ নামে পরিচিত। এই ব্যায়ামটি দাঁড়িয়ে, বসে অথবা শুয়ে যেকোনো ভাবে করা যায়।
পেরিনিয়াল মাসাজ
ব্যথার কারণে অনেকে নরমাল ডেলিভারি করতে ভয় পায়। কেউ কেউ নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা শুরু করল পরে স্বেচ্ছায় সিজার করা সিদ্ধান্ত নিন। এটি প্রতিরোধে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পেড়ে নিয়ে পেরিনিয়াল ম্যাসাজ করাতে পারেন।
এতে যোনিপথের দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে যোনি ও বায়ুর মাঝামাঝি পেশিতে নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যায়াম করা হয়। গবেষণা দেখা গিয়েছে যে, এ ব্যায়ামের ডেলিভারি যোনি পথে ব্যথা সেলাইয়ের প্রয়োজনীয় কমাতে সাহায্য করতে পারে।
নরমাল ডেলিভারির জন্য কর্মস্থলে সাতটি বিষয় মেনে চলবেন
গর্ভাবস্থায় যে কোন নারী জীবনে একটি বিশেষ সময়। কষ্ট এবং খুশির এ বিস্ময়কর সংমিশনে চিন্তা করার এবং যত্ন নেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। এটি এমন সমাজ যখন আপনি একা নন। এটি সেই সময় যখন আপনি এবং আপনার আনন্দের উৎস আপনার সঙ্গে শারীরিকভাবে সংযুক্ত। আপনি আপনার আনুগত সন্তানের জন্য যেহেতু একটি স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে চান তাই তাকে নিশ্চয়ই স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে স্বাগত জানাতে জানানোর জন্য প্রস্তুত হবেন অস্ত্র পাচার মাধ্যমে নয়।
নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসাব হলো একটি প্রকৃতিক প্রক্রিয়া যা প্রতিটি মহিলার পক্ষে সম্ভব কেবল যদি তিনি গর্ব অবস্থায় নিজের সঠিক যত্ন নেন। সর্বাবস্থায় ছোটখাট জটিলতা গুলো স্বাভাবিকভাবে সন্ধান প্রসবের অন্তরায় না কিন্তু কিছুই বড় জটিলতা সেকশন লাগাবেন। তাই স্বাভাবিক প্রস্রাব নিশ্চিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন
১। গর্ভাবস্থা, জন্ম পূর্ব এবং জন্মদান সম্পর্কে শিক্ষা
প্রথম ধাপ হল আপনাকে গর্ব অবস্থায় এবং জন্মদান সম্পর্কে জানতে হবে। এ বিষয়ে কিছু জানান কিংবা বই পড়তে পারেন ইউটিউবে আজকাল এই সম্পর্কিত ভিডিও পাওয়া যায় সেগুলো দেখতে পারেন। পরবর্তীতে মাসিক প্রস্তুতির জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ইয়োগাবার এডিশনাল এর মত কিছু সাধারণ উপস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেন।
২। ব্যায়াম
গর্ভাবস্থায় হবু মাকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে বলা হয়। খুব ভারী ওজন তুলতে না তবে আপনি আপনার পেলভিক পেয়েছি বা রূপে শক্তিশালী করতে কিছু ব্যায়াম অনুশীলন করতে পারে। প্রসাব ব্যথা মোকাবেলায় এগুলো সহায়ক। শ্রেণী প্রসারিত করা এবং ওর জন্য স্কোয়ার্ড অনুশীলন করুন। একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করার কারণ আপনারা সামান্য ভুল আপনার শিশুর উপর সরাসরি খেলতে পারে।
৩। ডায়েট
গর্ভাবস্থায় মায়ের ভালো পুষ্টি প্রয়োজন হয় তবে খেয়াল রাখা দরকার যেন অতিরিক্ত খাবার না হয়। অতিরিক্ত খাওয়া ওজন বাড়াতে পারে এবং স্বাভাবিক প্রসাবের সম্ভাবনা হাঁস করাতে পারে। এবং খাবার খেতে হবে যা পুষ্টিযোগা এবং আসন মাস গুলোর জন্য মাকে শক্তিশালী করে তুলে।
৪। চাপকে না বলুন
মাসিক চাপ উদ্যোগ এবং চিন্তাভাবনা যাতে মাকে প্রভাবিত করতে না পারে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে গ্যারান্টি সংক্রান্ত বই পড়ুন বড়দের সঙ্গে কথা বলো ইতিবাচক এবং সুখী মানুষের পাশে থাকুন।
৫। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য শিশুর সঠিক অক্সিজেন সরবর গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আপনাকে প্রসাবের সময় অনেক লম্বা সময় দম ধরে রাখতে হবে এবং গভীর শ্বাস নিতে হবে। তাই ডেলিভারি কালীন প্রস্তুতির জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
৬। ম্যাসাজ
গর্ভাবস্থায় তৃতীয় টাইম স্টার এ নিয়মিত ম্যাসাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মা সাজ আপনাকে প্রসাবের জন্য প্রস্তুতি রাখতে সাহায্য করবে এটি জয়েন্টের ব্যথা এবং বেশি টানও প্রস্মিত করবে।
৭ নিজেকে হাইডেক্টেড রাখুন
পানি আপনার শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়ের জন্য এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রসবের সময় যে বাড়তি শক্তি প্রয়োজন তার দেওয়ার জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ। পানি প্রয়োজন মেটাতে তাজা ফলের রস খেতে পারেন।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ:
আমার গর্ভের শিশু কি ভালো আছে? এই চিন্তায় পড়ে আয় আর যে বিষয়টা বাবা-মায়ের সবচেয়ে চিন্তার কারণ সেটি হলো প্রস্রাব বেদনা বাল লেবার পেন উঠলে কিভাবে বুঝা যায়? সিনেমাতে যেমন দেখা যায় যে কোন কাজের মাঝখানে বা হাসপাতালে যেতে বাচ্চা হয়ে যায় প্রথম শিশুর ক্ষেত্রে এমন হওয়ার অসম্ভব। বাচ্চা বের হওয়ার অনেক আগে থেকে প্রসাব বেদনা শুরু হয়।
গর্ভবতী মায়েরা সন্তান জন্মানোর সময় জীবনব্যথা হবে সেটি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। প্রসাব ব্যাথা উঠলে যে যেটা কতক্ষন থাকবে কি দেখে বুঝতে পারবে সে প্রসাব ব্যাথা নাকি ফলোস আলাপ এসব প্রশ্ন মনে আছে। একক জনের সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়া একক রকমের হয়। তাই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আগে থেকে বলে দেওয়া কঠিন।
কিন্তু প্রস্রাব শুরু হওয়ার কিছু লক্ষণ আগে থেকে জেনে রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ছোট শিশুটিকে দেখার সময় চলে এসেছে। প্রস্রাব শুরুর ঠিক আগের লক্ষণগুলো হল
১। ঘনঘন জরবায়ুর শঙ্কচরণ অনুভব।
২। রক্ত পিসিতে সাব নিঃসরণ।
৩। পেটো পিঠের নিচের দিকে ব্যথা।
৪। পানি ভেঙ্গে যাওয়া।
যখন ডেইলি ভাই কাছাকাছি চলে আসবে হয়তো এক মাস বা কারো কম সময় বাকি তখন কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন--
ব্যথা কমানোর কোন দাওয়াই যেহেতু নেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাই প্রসাবের প্রত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে নতুন মা। কিছু খেতে নরমাল ডেলিভারি রাজিউন না দিতে পেরে শেষমেষ অস্ত্র পাচারের দিকে হাঁটতে হয়। রক্তক্ষরণ প্রয়োগের বালাই নেই
তাই এভাবে প্রস্রাবের রক্তক্ষরণ হয় অনেক বেশি যার পরিমাণ কখনো ভয়ানক হতে পারে এসব বেদনাদীর ভেদা স্থায়ী হলে জ্ঞান হারাতে পারেন মা এর ফলে প্রস্রাব প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url